‘কাজগুলো ঝটপট করুন নইলে ইলেকশনে ললিপপ খাবেন’ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী জোর ধমক দিলেন পঞ্চায়েত কে!
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীনেত্রী থাকাকালীন একবার গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে মানুষকে ভোট দিতে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছিলেন। প্রচন্ড গরমের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা ঠাঁই দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দেওয়ার বিরোধী ছিলেন তিনি, মানুষের কষ্ট বুঝে সেই সময় তিনি সরকারপক্ষের কাছে দাবি তুলেছিলেন যে, শীতকালে ভোট করাতে হবে। এরপর ২০১৩ র ভোটে র সময় যখন মমতার সরকার সদ্য গদিতে বসে আছেন সেই মুহূর্ত নির্বাচন কমিশনের কমিশনার মীরা পান্ডের সাথে সংঘাতের মুহূর্তে গরমকালে ভোট না করার বিষয়টি হাইলাইট হয়েছিল। তবে সেইবারও ভোট পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হয়েছিলো। এইবার পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ভোট হলে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩ এর এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এইবার কি ভোট এপ্রিল মে মাসেই হবে? নাকি বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন এবার এগিয়ে আসবে? আসলে খোদ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এই প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনে দানা বেঁধেছে।
ভোটকে কেন্দ্র করে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনবার পর রাজনৈতিক মহল মনে করছেন মমতার সরকার ভোটকে এইবার এগিয়ে আনবেন! বুধবার দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের সরকার গঠনের ভোট এগিয়ে আসার জল্পনাকেই উসকে দিলেন আরো একবার। পঞ্চায়েতের উদ্দেশ্যে মাননীয়া এইদিন বলেন, “কাজগুলো ঝটপট করুন। নইলে ইলেকশনে ললিপপ খাবেন। ইলেকশন (পঞ্চায়েত ভোট) যে কোনদিন ঘোষণা হয়ে যাবে। ” – মাননীয়ার এই কথাটিকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক শিবির। তারা মনে করছেন যে মুখ্যমন্ত্রী হয়তো এইবার ৫ কর্পোরেশনের ভোটের মত পঞ্চায়েত নির্বাচনকেও এগিয়ে আনবেন।
হ্যাঁ, এইবার ৫ কর্পোরেশনের ১০৩ টি পুরসভায় ভোট ফেব্রুয়ারি মাসে হয়েছিল। সেই সময় না গরম না শীত ছিল। তাই গরমের প্রচণ্ড দাবদাহ এড়িয়ে শান্তিতে ভোট দিয়েছিলেন মানুষ, তাই বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর এই কথার পর ভোট এগোনোর সম্ভাবনায় জোরদার হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে।