মিটিং থামিয়ে অসুস্থ ব্যক্তির উদ্দেশ্যে জল দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন মমতা!‘আমি যখনই দেখি কারো প্রবলেম আছে, আমি চেষ্টা করি সেটা সমাধান করতে’! বললেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী, আমাদের সবার দিদি। হ্যাঁ কথা হচ্ছে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কে নিয়ে। তাকে নিয়ে নানান রকম বক্তব্য সব সময় থাকে বিরোধীদের। তার কোনো বক্তব্য বা কাজের জন্য বিরোধী নেতারা তাকে সমালোচনা করতে ছাড়েন না। কখনো আবার এই দিদি হয়ে যান দয়ার অবতার। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারে সভা করতে গিয়ে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক রূপ ফুটে উঠল আবারও। আলিপুরদুয়ারে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সভায় তার যেরূপ দেখল মানুষ তা যেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নয়, মমতাময়ী এক দিদির রূপ।
আলিপুরদুয়ারের সভা চলাকালীন তিনি দেখতে পান একজন ব্যক্তি তার সভার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নিজের বক্তব্য থামিয়ে সবার প্রথমে সেই ব্যক্তির চিকিৎসার কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মাননীয়া। তিনি প্রথমে মাইকে করে জনসাধারণের উদ্দেশে বলেন ওই ব্যক্তিকে জল দিতে। তারপর নিজের কাছ থেকেই ওই ব্যক্তির উদ্দেশ্যে জলের বোতল এগিয়ে দেন।
ভিডিওতে দেখা যায় সভা মঞ্চ থেকে জলের বোতল ছুঁড়ে দিয়ে দিদি বলছেন, আগে ওর মুখে চোখে জল দাও। ডাক্তার কেউ আছো, ডেকে নাও। এরপর দিদি বলেন,“মিটিং অনেক হবে কিন্তু আগে ওকে বিশ্রাম নিতে হবে। খুব গরম তো আর ডিহাইড্রেশন হচ্ছে, দেখে নি কি ব্যাপার আগে ওর চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। ভালো থাকবেন মা-বোনেরা আমার অনেক ভালো থাকবেন। ছাত্র-যুব ভাই-বোনেদের আমার অনেক অভিনন্দন। বেরোন ঘর থেকে বের হন এবং কাজটা করুন, মেয়েদের সাথে নিয়ে। অনেক উন্নয়ন হবে।”
মমতা দিদি বললেন,“আজকে আবার জয় মঙ্গলচন্ডীর ব্রত আছে। সুতরাং মা মঙ্গলচন্ডী আপনাদের সবার মঙ্গল করুক। সবশেষে মমতা দি নিজস্ব কায়দায় আবার বললেন, জয় হিন্দ, বন্দে মাতরাম, জয় বাংলা।” এরপর তিনি জনসাধারণকে বলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে যেন তারা ভুল না বোঝেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে ভুল বুঝলে এখন যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা তারা পাচ্ছেন সেগুলি পাবেন না। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “দলটাকে ভুল বুঝলে তৃণমূল কংগ্রেস না থাকলে লক্ষীর ভান্ডারও হবেনা, খাদ্যভান্ডারও হবে না, দুয়ারে কিষানও হবে না, স্বাস্থ্যসাথী ও হবে না, কিষান বন্ধুও হবে না, বিনা পয়সায় ট্রিটমেন্টও হবে না।চা সুন্দরী ও হবেনা উদ্বাস্তু পাট্টাও হবে না। সবটা নিজেদের করে নিতে হবে। আমি যখনই দেখি কারো কোনো প্রবলেম আছে আমি চেষ্টা করি সেটাকে সর্ট আউট করতে। আমি আগামীকাল পুলিশের পক্ষ থেকে একটা প্রোগ্রাম তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অরগানাইজ করছে ৫১০ টা আদিবাসী পরিবারকে তারা গণবিবাহের ব্যবস্থা করেছে তারা এবং আমিও সেখানে থাকবো এবং আপনারাও সেখানে দর্শক হিসেবে থাকলে আমি খুশি হব।”