বিজেপির নেতারা সবাই মিলে ভোগ করতে চেয়েছিলেন বৈশাখীকে, তাই শোভন বৈশাখী দল ছাড়েন, বিস্ফোরক মন্তব্য বৈশাখীর!
প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের রংমিলান্তি পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় হাজির হওয়া থেকে শুরু করে, দুর্গা পুজোতে ঘোরা বা বৈশাখীর শোভনকে জামাইষষ্ঠী খাওয়ানোর মতো সব বিষয়ই খবরের হেডলাইন হয়। দুজনের একসাথে বিজেপি দলে ঢোকা,সেখান থেকে একসাথে দুজনের দল থেকে বেরিয়ে আসা ও নতুন করে আবার দুজনের একসাথে তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মিটিং করা- সবেতেই তারা জোড়ায় হাজির হন। রাজনৈতিক জীবন যাপন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন যাপন সবেতেই তাদেরকে একসাথে দেখতে পাওয়া যায়।
গতবছর দুর্গাপুজোর বিজয়া সম্মেলনের এক অনুষ্ঠানে মা দুর্গার সামনে বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও তখন কিংবা এখনো শোভন চট্টোপাধ্যায় এর সাথে তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের আইনিভাবে ডিভোর্স হয়নি, এখনো শোভন এবং রত্না আইনিভাবে স্বামী স্ত্রী, তবু সকলের সামনে বৈশাখীর সিঁথি তে সিঁদুর দেওয়ায় প্রশ্ন ওঠে এটা কী হলো? যদিও এইসব কটাক্ষে পাত্তা দেননি বৈশাখী বা শোভন, তারা সমাজকে কুছ পরোয়া নেহি করে নিজেদের মতো থাকেন।
বর্তমানে নিজের মেয়েকে নিয়ে শোভনের সাথে এক ছাদের তলায় থাকছেন বৈশাখী, তাদের সম্পর্ক নিয়ে তাই প্রায় ই হেডলাইন হয়। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বৈশাখী জানিয়েছেন যে কেন বিজেপি ছেড়েছিলেন তিনি! বৈশাখী বলেন, বিজেপির কিছু মানুষ নাকি তাকে অন্য নজরে দেখতে শুরু করেছিলেন। বৈশাখীর কথা অনুযায়ী বিজেপি দলের কেউ বা কয়েকজন নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বলেন কেন শোভন চ্যাটার্জি একা ভোগ করবেন বৈশাখীকে?- এই কথা কানে যাওয়া মাত্রই দল ছাড়েন বৈশাখী, শোভন ও একই সাথে দল ছাড়েন।