দেশ

ভারতের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হবে দ্রৌপদী মুর্মু? কী তার আসল পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন!

যে কোন দেশের রাষ্ট্রপতির পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ। কারণ রাষ্ট্রপতি পদের এক আলাদা‌ই গরিমা। এখনো অবধি ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতির পদ অনেকেই অলংকৃত করেছেন, তবে ভারত ইতিহাসে আদিবাসী মহিলা প্রার্থী রাষ্ট্রপতি হন নি কখনো। সেই ইতিহাস তৈরি করতেই দ্রোপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট NDA। এই বার নির্বাচনে তিনি জিতে গেলে ভারত প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি পাবে! কিন্তু কে এই দ্রোপদী মুর্মু? কী তার পরিচয়?

তৃণমূল স্তর থেকে রাজনীতিতে পদার্পণ করা দ্রোপদী ১৯৫৮ সালের ২০শে জুন জন্মগ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭৯-৮৩ সাল পর্যন্ত ৪ বছর ইনি উড়িষ্যা সরকারের জল সম্পদ ও শক্তি দপ্তরে জুনিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৪-৯৭ পর্যন্ত শ্রীঅরবিন্দ ইন্ট্রিগ্রাল এডুকেশন সেন্টারে সাম্মানিক শিক্ষক হিসেবেও ছিলেন। এরপর কাউন্সিলর হন তিনি, পরবর্তীতে রায় রংপুর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন হয়েছিলেন।

বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে বিধায়ক হন দ্রোপদী। একবার নয়, মোট দুবারের বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি, এরপর নবীন পট্টনায়কের সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ২০০০-২০০৪ পর্যন্ত বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি ময়ূরভঞ্জ জেলার রংপুর কেন্দ্র থেকে। ভোটে জিতে ছিলেন তিনি এবং বিজেপি জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ যেমন পরিবহন, মৎস্য ও পশু পালন দপ্তরের দায়িত্ব ছিল তার হাতে (যদিও একটানা ছিলেন না এই দায়িত্বে)। এখানেই শেষ নয়, পড়শী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বভার সামলেছেন দ্রৌপদী। ২০১৫-২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ছয় বছর ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন তিনি।

২০০৭ সালে উড়িষ্যার সেরা বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে নীলকন্ঠ পুরস্কার লাভ করা দ্রোপদীর এখন পাখির চোখ রাস্ট্রপতির কুর্সি! যদি তিনি জিতে যান তাহলে ভারতের ইতিহাসে আদিবাসী মহিলা হিসেবে প্রথম রাষ্ট্রপতি হবেন তিনি! যা একটি সম্প্রদায় জন্য যেমন গৌরবের, তেমনি ভারতের উত্তরোত্তর এগিয়ে যাওয়ার প্রমাণ!

Related Articles