বৌ এর মুখের কথার উপরে তোমার বিশ্বাস সেদিন ও ছিলো না আজ ও নেই তাই তো ডাক্তারবাবু???-তোমাদের রানী দেখে বলছেন দর্শক!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘তোমাদের রানী’। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, রানী ও জয়ের মধ্যে একটা মারাত্মক দূরত্ব তৈরি হয়েছে কিন্তু সেই দূরত্বের থেকেও দর্শককে বেশি ভাবাচ্ছে, দুজনের সম্পর্কের মধ্যে থাকা অবিশ্বাস। জয়ের মানসিকতা টা এমন হয়ে গেছে যে, রানী কোনও কিছু প্রমাণ না দিলে, জয় সেটা বিশ্বাসই করে না।
রানী যখন প্রথম তার বিরুদ্ধে অ্যাটাকের কথা বলে তখন জয় বিশ্বাস করে নি, কিন্তু রানীর শরীরের ক্ষত দেখে সে বিশ্বাস করেছে।
এখন দর্শক বলছেন যে, রানীর শরীরের ক্ষত জয়কে এত কষ্ট দিচ্ছে! অথচ রানীর মনের ক্ষত তাকে রীতিমতো ভাবাচ্ছে না!
দর্শকের মধ্যে অনেকেই বলছেন যে,রানীর মনের মধ্যে তৈরি হওয়া এই ক্ষতর দায় কিন্তু
জয়কেই নিতে হবে।
কারণ জয় রানীর মুখের কথা কখনোই বিশ্বাস করে নি, সব সময় প্রমান চেয়েছে। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, রানী সব সময় বলছে, আমি তোমার হাতের সামনে প্রমাণ এনে দেব তখন তুমি কি করো সেটাই দেখব কিন্তু দুর্জয় বলছে না, যে তার প্রমাণের দরকার নেই সে রানীকে বিশ্বাস করে! স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের বিশ্বাস কি এতটাই ঠুনকো ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন দর্শক!
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“Fan’s Review বৌ এর মুখের কথার উপরে তোমার বিশ্বাস সেদিন ও ছিলো না আজ ও নেই তাই তো ডাক্তারবাবু??? তুমি শুধু প্রমাণে বিশ্বাসী সেইজন্য আজ ও তুমি যখন রানী বললো তোমায় পিকলু দা কে চারজন গু*ন্ডা মা*র*তে এসেছিল , তারপর অলোক সেন কে রানী store room
আটকে রেখেছিল সেটা বিশ্বাস হয়েও হয়নি কিন্তু তাকে সেখানে দেখতে না পেয়ে রানী সেইসব মিথ্যে বলছে বলে তোমার মনে হলো কিন্তু অবশেষে নিজের ভালোবাসার মানুষের শরীরের এই আঘা*ত , র*ক্ত দেখে তোমার ভেতর যে শুকিয়ে গেছিল সেটা ভালো করেই বুঝতে পেরেছি ,এসব প্রমান পেয়ে তখন তোমার মনে হলো রানী সত্যি কথায় বলেছে”
ঐ দর্শক আরো লিখেছেন যে,“তুমি রানীর বাইরের ক্ষত দেখে কষ্ট পাও, কিন্তু তুমি নিজেই যে আঘাত গুলো দাও রানী কে তার জন্য ওর ভেতর টা যে ক্ষ*ত বি*ক্ষ*ত হয়ে যায় সেটা তুমি বুঝেও বোঝো না , ওকে আঘাত করে নিজেও যে ভালো
আরও পড়ুন : দুর্জয়ের দ্বিতীয় বিয়ে আর পাগল হতে বাকি আছে তাছাড়া সুদীপা র দিকেই এগোচ্ছে!
থাকো তেমন টা কিন্তু নয়, তাও তুমি একি কাজই করো….অবশ্য রানী কে অবিশ্বাস করার কারণ তুমি জানিয়েছ যে ও বার বার কথা লুকিয়েছে , অনেক কথা তোমাকে আগে জানায়নি কিন্তু সব কথা লুকনো আর তুমি যে বার বার ওর চরিত্রের দিকে আঙ্গুল তোলো সেটা কিন্তু আলাদা বেপার , এতোদিন কাছে থাকার পরেও তোমার ওর চরিত্রের দিকে আঙ্গুল তোলা ঠিক হয়নি…
জানিনা সব সত্য সামনে আনতে গিয়ে মেয়েটাকে আর কতো বড়ো আঘা*তের সম্মুখীন হতে হবে তবে তোমাকে জব্দ করতে পারে রানীর উপর কোনো প্রাণ*ঘাতী আঘাত সেটা ভালোই বুঝতে পেরেছি
তাই মনে প্রাণে চাই তোমার সামনে ও যে সৎ সেই প্রমান টা যখন ওকে দিতেই হবে তখন তোমার চোখের সামনে রানীর বড়ো কোনো ক্ষতি হোক তাহলেই তুমি বুঝবে নাহলে মনে হয় বুঝবে না…”
