বাংলা সিরিয়াল

শিমুলের শরবতে বিষ মেশাচ্ছে পলাশ আর সেই শরবত মুখের সামনে ধরছে প্রতীক্ষা! এবার কোন দিকে মোড় নেবে শিমুলের জীবন? টানটান উত্তেজনা কার কাছে কই মনের কথাকে ঘিরে!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে বিয়ের পর থেকে বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার শিমুল, পরিবারের কথা মত বাপ মরা মেয়ে শিমুল, নিজের ভালোবাসার কথা ভুলে বিয়ে করতে বাধ্য হয় পরাগ কে। সে ভেবেছিল বিয়ের পর তার নতুন একটা জগৎ হবে, তার একটা সুন্দর সুস্থ পরিবেশ হবে, তার একটা নিজের সংসার হবে, শ্বশুরবাড়ি যে খুব একটা তার মনের মত হবে না সেটা বিয়ের আগে সে বুঝতে পারলেও, সে ভেবেছিল বিয়ের পর সে শ্বশুরবাড়িটাকে ঠিক নিজের মতো করে মানিয়ে গুছিয়ে নেবে। কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর পরাগদের বাড়িতে পা দিয়ে শিমুল বুঝতে পারে বাস্তব আসলে কতটা কঠিন!

বিয়ের পর থেকে শিমুলের দে‌ওর পলাশ, পলাশের হবু স্ত্রী প্রতীক্ষা এবং তার শাশুড়ি মা মধুবালা দেবী তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন, এমনকি বিয়ের পর প্রত্যেকটা রাত্রে বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হয় সে। শ্বশুরবাড়িতে তার সহায় বলতে একমাত্র একজনই ছিল সে হল তার ননদ পুতুল দি আর শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় ছিল তার কতগুলি বন্ধু, সুচরিতা, বিপাশা আর শীর্ষা।

এরপর শিমুল নিজের আচার ব্যবহারের দ্বারা তার শাশুড়িমা মধুবালা দেবীর মন জয় করে নেয়, কিন্তু তার স্বামীকে কিছুতেই সে বোঝাতে পারে না সুস্থ স্বাভাবিক দাম্পত্যের মূল‌ কথা,তাই বাধ্য হয়ে তাকে একসময় আইনের দ্বারস্থ হতে হয়। একটা সময় দেখা যায় তার নির্যাতনের পথে,তার লড়াইয়ের পথে প্রধান সহায় হয়ে ওঠে তার শাশুড়িমা মধুবালা দেবী, শিমুলের হয়ে তিনি তার ছেলেদের বিরুদ্ধে পর্যন্ত চলে যান।

আরও পড়ুন : নীল আর মেঘের ডিভোর্সের দিন উপস্থিত! ময়ূরীর চক্রান্তই কি সত্যি হবে? সত্যি কি ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে তাদের?

এই বিষয়টাই মানতে পারেনা শিমুলের বর পরাগ এবং শিমুলের দেওর পলাশ, দুর্গা পূজার সময় শিমুলের কথা শুনে মধুবালা দেবীর পাড়ার পুজোর প্রেসিডেন্ট হওয়া ও পুজোর অনুষ্ঠানে আনন্দ হইচই করা দেখে পরাগ,পলাশ ও প্রতীক্ষা রাগে জ্বলতে থাকে। এরই মধ্যে পলাশ পরাগকে বুদ্ধি দেয় যে শিমুলকে টাইট করবার জন্য তার সিদ্ধিতে একটু বিষ মিশিয়ে দিলেই হবে।

এরপর দুর্গা পুজোর ভাসানের সময় শিমুলকে মারবার জন্য শিমুলের সিদ্ধিতে বিষ মিশিয়ে দেয় পলাশ। ধারাবাহিকের আগামী পর্বের প্রোমোতে দেখা যায় যে, সিদ্ধির গ্লাসে বিষ মেশাচ্ছে পলাশ আর সেই গ্লাস নিজের হাতে করে শিমুলের মুখের সামনে ধরছে প্রতীক্ষা। শিমুলকে গিয়ে সে বলছে, তুমি যদি এই সরবত টা খাও, তাহলে ভালো লাগবে। শিমুল তখন হাসিমুখে বলে, নিশ্চয়ই খাবো!- এই বলে সে ঢকঢক করে শরবতটা খেয়ে নেয়! কিন্তু এরপর কোন দিকে মোড় নেবে শিমুলের জীবন?

এই ঘটনার পরে কি বদলে যাবে পরাগ নাকি আরো ধূর্ত হয়ে উঠবে সে! জানতে হলে অবশ্যই দেখতে হবে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা।

আরও পড়ুন : ডাক্তার হওয়ার নিনজা টেকনিক ছাড়া ইচ্ছে পুতুলের অনেক কিছুই দেখানোর বাকি আছে!’ইচ্ছে পুতুলের আলোচনায় তোমাদের রাণীকে টেনে এনে কটাক্ষ!

Related Articles