এই মুহূর্তে মিঠাই ধারাবাহিকের দেখানো হচ্ছে শাক্যর দেখাশোনার জন্য মিঠি এসেছে মনোহারাতে। যাকে অবিকল দেখতে মিঠাইয়ের মত। কিন্তু স্বভাব, চরিত্র হাবে ভাবে একেবারেই মিঠাইয়ের সঙ্গে মিল নেই। তবে এই মিঠি আসলে কে সেই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে দর্শকদের মধ্যে। মিঠাই কি আবার নতুন রূপে ফিরে এসেছে? নাকি এই মিঠি হলো মিঠাইয়ের যমজ বোন? সেই ধোঁয়াশা এখনো পর্যন্ত কাটেনি।
তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে শাক্যর শিক্ষিকা হয়ে মোদক বাড়িতে এসেছে সে। যেখানে শাক্য কোন শিক্ষিকার কাছেই কথা শুনত না সেখানে মিঠি এসে ম্যাজিকের মত শাক্যর জীবনে প্রবেশ করেছে আর মিঠির সাথে শাক্যর বন্ধুত্ব বেশ জমে উঠেছে। তাই মিঠির সব কথাই শুনছে শাক্য।
এছাড়াও শাক্য কে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার পরে মিঠি চ্যালেঞ্জ নিয়েছে যে সে শাক্য কে দুদিনের মধ্যে তৈরি করে দেবে। শাক্য কে যোগ্য ছাত্র করে তুলবে তার স্কুলের। আর সেই চ্যালেঞ্জেই জিতে গেছে মিঠি। তাই বাড়ির সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই মিঠিই হবে শাক্যর যোগ্য শিক্ষিকা।
কিন্তু মিঠিকে দেখে সিদ্ধার্থের মনে নানান রকম প্রশ্ন জাগে। তাই সিদ্ধার্থ তার পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে জানাই মিঠির সম্পর্কে সমস্ত খোঁজ খবর নিয়ে এসে সিদ্ধার্থ কে জানাতে।
সেই মতো সিদ্ধার্থর টিম মিঠি সম্পর্কে সমস্ত খোঁজখবর নিয়ে আসে এবং সিদ্ধার্থকে জানায়। মিঠি হল একজন অত্যন্ত বড় ব্যবসায়ীর মেয়ে। যে ছোটবেলাতেই নিজের মাকে হারিয়েছে। কিন্তু সিদ্ধার্থর মনে প্রশ্ন জাগে যে এত বড় ব্যবসায়ীর মেয়ে কেন ওদের বাড়িতে প্রাইভেট টিচার হিসেবে কাজ করতে চাইছে?
অন্যদিকে সিদ্ধার্থদের বাড়িতে এসে হাজির হয়েছে নিপার মামাতো বোন সৌমী। নিপার মা সিদ্ধার্থ এর জন্য সৌমী কে নিজেদের বাড়িতে এনে রেখেছে। যাতে পরবর্তীকালে সিদ্ধার্থ অন্য একজনকে বিয়ে করে সুখী হতে পারে। কিন্তু সিদ্ধার্থ মিঠাই ছাড়া আর কাউকে নিজের জীবনে চায়না, সেটা সে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। আর এই কথা শুনেই সৌমীর মন ভেঙে যায়। কিন্তু সৌমী মিঠিকে কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না।
কারণ তার ভয় মিঠি সারাদিন সিদ্ধার্থের চোখের সামনে থাকলে সিদ্ধার্থ দুর্বল হয়ে মিঠিকে বিয়ে করে ফেলবে। তখন সৌমির আর কোন জায়গা থাকবে না এই বাড়িতে, তাই মিঠির ক্ষতি করার জন্য সৌমী নানান রকমের কাজকর্ম করে চলেছেন আজকের পর্বে সেইটাই দেখানো হবে।
