পরাগের দ্বিতীয় বিয়ের আশীর্বাদে অগ্নিকাণ্ড! নিজের প্রাণ বাজি রেখে প্রিয়াকে বাঁচাবে শিমুল!
প্রথম দিকে একটু একঘেয়েমি লাগলেও, বর্তমানে কিন্তু একের পর এক দারুন পর্ব দেখিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে, জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “কার কাছে কই মনের কথা”। ইতিমধ্যেই ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে শিমুল আর পরাগের।
আগে থাকতে প্রিয়াকে বিয়ে করার জন্য রীতিমতো উঠে পরে লেগেছে পরাগ। ওদিকে প্রিয়া সরকারি চাকরি করা স্বামী পাওয়ার লোভ ছাড়তে পারছে না। ডিভোর্সের হাতে পাওয়ার আগে পরাগ আর প্রিয়া নিজেদের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। তবে আশীর্বাদের দিন হবে দুর্ঘটনা।
জি বাংলা ইতিমধ্যেই তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে, কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো পোস্ট করেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পড়া আর প্রিয়ার বাগদাদের অনুষ্ঠান চলছে। সেই বাগদান অনুষ্ঠানে রয়েছে শিমুল। এদিকে নতুন হবু বৌমাকে আশীর্বাদ করতে বসেছে পরাগের মা। আর ঠিক তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। দেখা যাচ্ছে পরাগ এবং প্রিয়ার বাগদানের অনুষ্ঠান চলছে। চলছে আশীর্বাদ।
View this post on Instagram
হঠাৎ করেই বুঝতে না পেরে প্রিয়ার শাড়ির আঁচলে আগুন ধরে যায়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে সেই আগুন। সেই সময় তাকে বাঁচাতে কিন্তু কেউ ফিরে আসেনি। ব্যতিক্রম শুধু শিমুল। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে একটি কম্বল দিয়ে প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরে। অবশেষে প্রাণে রক্ষা পায় প্রিয়া।
এই দেখে প্রিয়া শিমুলকে বলবে, “তুমি আমায় বাঁচালে?” উত্তরে শিমুল বলে, ” এখনও মানুষ আছে, এতটুকু মানবিকতা তার আছে, তাই এটা করতে হতো”।
শিমুলের এমন দরদ দেখে রীতিমত রেগে গিয়েছে নেট নাগরিকরা। ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করছেন অনেকেই। একের পর এক লোক দেখানো ভালো মানুষই করে চলেছে শিমুল, বলছেন সকলেই।
এই দেখে একজন লেখেন, “এই তো বেহায়া শিমুল ঠিক একটার পর একটা লোকদেখানো ভালোমানুষী করে ডিভোর্স হয়ে যাওয়া বরের বাড়িতেই থেকে যাবে। কি আর করবে! নিজের বাপের বাড়ির লোক তো ওকে পছন্দ করে না। পুরনো প্রেমিকের ঘাড়ে গিয়ে উঠবে ভেবেছিল সেটাও হল না। এখন পুরনো বরের ঘাড়টাই ওর ভরসা।”