ঠাকুর দুপাশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে অথচ ঠাকুরের সাথে বাধা তুলসীকে দেখা যাচ্ছে না! আচ্ছা লজিক সিরিয়ালের! ফেরারি মন ধারাবাহিকের প্রোমো তুমুল ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়!
কালার্স বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফেরারি মন , এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে মন্ত্রীর ছেলে অগ্নি সৎ মায়ের আদর পেয়ে পুরো বাঁদরে পরিণত হয়েছে। তার কাছে মানুষের ইমোশনের কোন দাম নেই, মেয়েদের সম্মানের কোন দাম নেই। সে সবকিছুকে প্রতিশোধের নিরিখে, হারা জেতার নিরিখে দেখে, পরীক্ষা না দিয়েই সে প্রথম হয়ে যায় কারণ কলেজটা ও তার বাবার।
এই অগ্নিকে মুখোমুখি হতে হয় তুলসীর, তুলসী পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো মেয়ে তাই পড়াশোনা না করে অগ্নির প্রথম হওয়া এবং চেষ্টা করেও নিজের দ্বিতীয় হওয়ার অন্যায়কে আটকাতে অগ্নির সাথে তুলসীর এক যুদ্ধ শুরু হয়।
অগ্নি তখন তুলসীকে বদনাম করার চেষ্টা করে আর এই বদনামের বিষয়টাকে হাতিয়ার করেই মাথায় সিঁদুর দিয়ে তুলসী হাজির হয় অগ্নির বাড়িতে, অগ্নির বাবাকে প্রণাম করে বলে, সে তার পুত্রবধূ।
এই তুলসীর সাথে থাকতে থাকতে একটা সময় ধীরে ধীরে মানুষ হয়ে ওঠে অগ্নি ,বুঝতে শেখে ঠিক ভুলের পার্থক্য, নিজের সব ভুল স্বীকার করে নিয়ে অনুতপ্ত হয়ে ওঠে সে আর তুলসির প্রেমে পড়ে যায়- ঠিক এই সময় থেকেই শুরু হয় সিরিয়ালের ভিলেনদের চক্রান্ত।
ফেরারি মন ধারাবাহিকের নতুন দেওয়া প্রোমোতে দেখা যায় যে, তুলসীকে মারবার জন্য নতুন পরিকল্পনা করেছে অগ্নির মা। ঠাকুর এর কাঠামোর পিছনে তুলসীকে মুখ হাত পা বেঁধে রেখে দেওয়া হয়েছে, এরপর মা দুর্গার সাথে তুলসী কেও জলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে মুখ হাত পা বাঁধা অবস্থায়।
কিন্তু এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে মা দুর্গার সেই মূর্তিটি যখন সবাই নিয়ে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে তখন ঠাকুর দুপাশ থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, অর্থাৎ দুই পাশের মানুষজনই মা দুর্গাকে দেখতে পাচ্ছে, তাহলে অন্য পাশের মানুষজন কেন মা দুর্গার কাঠামোর মধ্যে থাকা তুলসীকে দেখতে পেলো না এই নিয়ে হাসাহাসি শুরু করেছেন দর্শক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“তুলশী মাসিমাকে ঠাকুরের সাথে বেধে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ঠাকুর দুপাশ থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তাও কেউ তুলশী মাসিমাকে দেখতে পাচ্ছে না
লজিক এর মুখে ঝা*টা*র বারি”
আরও পড়ুন : মা এখন অতীত, প্রেমিকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে ব্যস্ত মিশকা অহনা! রাখলেন প্রেমিকের বুকে মাথা
