নীলুর ভয়েস রেকর্ডিং শুনে ক্ষমা চাইতে গেল অনির্বাণ! অন্যদিকে তীব্র অপমানে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল রাই!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরাতে দেখা যায় যে,শৌর্য নিলু কে মদ খাইয়ে তার পেট থেকে সমস্ত কথা বার করে নেয় এবং সেই সমস্ত কথা সে রেকর্ডিং করে নেয় সেই রেকর্ডিং এর মধ্যে নীলু পরিষ্কার বলেছে যে, নিজের দিদি রাই এর জীবন শেষ করতে সে নিজেই তার দিদি এবং তার স্বামীর ছবি কোলাজ করে ফুলশয্যার দিন অনির্বাণ এর কাছে পাঠিয়েছিল।
এরপর আর এক মুহূর্ত দেরি করে না শৌর্য, নিজের কলঙ্কমোচন করতে এবং অপবাদ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সে সকাল সকালই হাজির হয়ে যায় অর্নিবানের অফিসে।
শৌর্যকে দেখে তার ওপর রেগে যায় অনির্বাণ, কোনও কথা না শুনেই তাকে চলে যেতে বলে সে কিন্তু শৌর্য তাকে বলে, না অনিদা আজ তো আমি যাবো না, যেটা বলতে এসেছি সেটা বলবো, তারপর যাবো আর হ্যাঁ আজকে আমার কথাগুলো তোকে শুনতেই হবে। তখন অনি বলে আর কী শুনবো?
শুনবার কি আর বাকি আছে? এখন তো তোর আবার আনাগোনাও প্রচুর বেড়েছে রাইয়ের সাথে,রাই যাচ্ছে তোর বাড়ি, তুই যাচ্ছিস রাইয়ের বাড়ি,তোর ঐ মুখের কোনো কথা আমি শুনতে চাই না।
তখন শৌর্য বলে, আমি আজকে শুধু মুখের কথা বলতে আসি নি, সাথে প্রমানও নিয়ে এসেছি। অনি বলে, কোথায় কী প্রমান তাড়াতাড়ি দেখা, নাহলে বের হয়ে যা। এরপর শৌর্য নীলুর কথার পুরো রেকর্ডিংটা শুনিয়ে দেয়, অনির্বাণ তখন বুঝতে পারে সে কি ভুল করেছে, সে তখন রাইয়ের কাছে ক্ষমা চাইতে তাদের বাড়ি যাই কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে কারণ
রাইয়ের বাড়িতে অনির ডিভোর্স পেপারটা পৌঁছাতেই কোন কিছু না ভেবে রাই সই করে দেয় তখন রাইয়ের মা আবাল
অপমান করতে শুরু করে রাইকে, যার ফলে রাই বাড়ি ছেড়ে চলে যায় আর এর ঠিক পরেই বাড়িতে অনি আসে,ও রাইয়ের খোঁজ করে,তাকে দেখে সবাই চমকে গেলেও স্রোত তাকে ভালো মতো কথা শোনায়। অনি এসে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে,সে বলে আমার ভুল হয়েছে,আমি রাইয়ের সাথে অন্যায় করেছি। কিন্তু রাইয়ের মা, দাদা কেউ বুঝতেই পারে না,রাই দোষ করেছে, তাহলে অনির্বাণ কেন ক্ষমা চাইছে!?