নীলু নীলুর জায়গায় সঠিক, রাই রাই এর জায়গায় সঠিক, আসল ভিলেন শৌর্য ও তার পরিবার!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো মিঠিঝোরা। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, রাই শৌর্কে বলে আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি, আমি তোমাকে এক আকাশ সমান ভালোবাসি। এরপর বাবার মৃত্যুর জন্য রাই যখন বিয়ে ভেঙে দেয় তখন শৌর্য কে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে সে শৌর্যের সাথে নিজের মেজো বোন নীলুর বিয়ে দেয়।
শৌর্য বিষয়টা স্বাভাবিকভাবেই মানতে পারে নি, বাইরে থেকে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করেছে মাত্র। এরপর বোন ও ভগ্নিপতি সম্পর্ক ভালো করতে রাই নিজের চরিত্র নিয়ে একটি চরম মিথ্যা কথা বলে, যার ফলে শৌর্য নীলুকে মেনে নেয়।
এরপর নীলু পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা পেতে নিজের ফলস প্রেগনেন্সির নাটক করে, তখন সেই নাটক ধরে ফেলে তাকে বাপের বাড়িতে বসিয়ে দিয়ে আসে শৌর্য।অন্যদিকে রাই মাত্র কয়েক মাসেই নিজের প্রাক্তন প্রেমিক ও ভালোবাসাকে ভুলে বিয়ে করে নেয় অনির্বাণ কে।
শৌর্য দেখায় যে, সে সবটা মেনে নিয়েছে কিন্তু কোথাও গিয়ে মনে হয় যে, সে কোনও কিছুই মানতে পারে নি। মানার চেষ্টা করছে মাত্র। সম্প্রতি একজন দর্শক এই ধারাবাহিকটি এনালাইসিস করে লিখেছেন যে, “আমি একটা বিষয় বিচার করে দেখলাম নীলু নীলুর জায়গায় সঠিক, রাই রাই এর জায়গায় সঠিক, আসল ভিলেন শৌর্য ও তার পরিবার”
ওই দর্শক আরো লিখেছেন যে,“দেখো শৌর্য নীলুর সাথে যখন বিয়ে করলি তাহলে বাইরে সুখী দম্পতি, ভালোবাসার নাটক দেখানোর কি দরকার ছিল শৌর্য্যর বিশেষ করে রাই এর সামনে,রাইকে জ্বলানোর জন্য রাইকে দেখানোর জন্য যে আমরা কত সুখী আছি।
এখানেতো নীলুর রাই এর ওপর রাগ হওয়া স্বাভাবিক, সে ভাবতেই পারে রাই এর জন্য তার এই অবস্থা আর যখন সুখী দম্পতির নাটকই করবি তাহলে বিয়ে করার কি প্রয়োজন ছিল শৌর্য্যর, নীলু না হয় দিদিভাই এর কথায় না করতে পারে না।
আবার নীলুর শশুর যখন অসুস্থ হলো তখন নীলুর শশুরের দাবি তাকে একমাত্র রাই সুস্থ করতে পারে তাই রাইকেই আনতেই হবে, সেখানে শৌর্য নিজে গিয়ে রাইকে আনতে যাই, এবং রাই নীলুর বাড়িতে এসে নীলুর শশুরের সেবাযত্ন করতে
থাকে আবার নীলুর শশুর শাশুড়ির দাবি রাইকে রান্নাও করতে হবে এইসব নীলু নিজে থেকে করতে গেলে তার শাশুড়ি তাকে অপমান করে সেখান থেকে বের করে দিতো,এমনকি নীলুকে শুরু থেকেই তার শশুর শাশুড়ি, যা সবাই মিলে অপমান করতে থাকে তাহলে এখানেও নীলুর রাই এর ওপর রাগ জন্মানো স্বাভাবিক। নীলুর মনেই হতে পারে রাই এর জন্য সবকিছু হয়েছে।
নীলু কি চাই যে তার শশুর শাশুড়ি তাকে একটু ভালোবাসুক, ভালোবাসা পেলে যে কেউই কাজ করবে, সেবাযত্ন করবে সেখানে নীলু শুধু অপমান পেতো, আর তার যা পটের বিবি হয়ে চাঙ্গে উঠে থাকতো এটা নীলু বললে নীলুর শাশুড়িও তাকে
আরও পড়ুন : এতবড় রেমাল গেলো কিছুদিন আগে তখন ফুলকি কই ছিলো?-ফুলকি ধারাবাহিক নিয়ে রীতিমতো সমালোচনা শুরু
অপমান করতো, তাই একটু নীলু সকলের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য একটু না হয় ভুল করেই বসেশে, তাহলে কি আরেকবার সুযোগ দেওয়া যেত না?
অবশ্যই যেত, কিন্তু না দেওয়া গেলো না, এখানেও নীলুর মনে হবে তার দিদিভাই এর জন্য তার এই অবস্থা। অথচ নীলু শশুর বাড়ির সকলে যদি নীলুর সাথে ভালো ব্যবহার করতো, শৌর্য যদি রাইকে ও পুরো সমাজকে সুখী দম্পতি দেখানোর, তাঁদের মধ্যে অনেক ভালোবাসার নাটক না দেখাতো তাহলে নিশ্চয় নীলুর এরকম মনোভাব হতো না। তাই হিসাবে আসল ভিলেন শৌর্য ও তার পরিবার।”