‘এ কেমন ধরণের মা?’-অনির্বাণের বলা কথাটাই সত্যি বুঝলো রাইয়ের মা! হতবাক দর্শক!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরাতে দেখা যাচ্ছে যে, মাকে লুকিয়ে স্রোত ও মিষ্টির সঙ্গে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছে রাই।
ওদিকে সোহিনীর মদতে রাগে জ্বলতে জ্বলতে মিথ্যে সন্দেহ করেই রাইয়ের বাড়িতে চলে আসে অনির্বাণ আর রাইয়ের চরিত্র নিয়ে হাজারও কুকথা বলতে শুরু করে দেয়। রাই প্রেগন্যান্ট এবং এই সন্তানের বাবা অনির্বাণ নয় একথা বলে দেয় সে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এই কথাগুলো বিশ্বাস করে নেয় রাইয়ের মা আর দাদা। মুহূর্তের মধ্যে বোনের প্রতি অগাধ বিশ্বাস শেষ হয়ে গেল তাদের।
দুজন শিক্ষিত মানুষ এবং রাইয়ের খুব কাছের মানুষ হয়েও তাদের মনে হলো না অন্য কোন রোগ হতে পারে রিপোর্ট ভুল আসতে পারে! রাইয়ের মা এরপর স্রোত কে ফোন করে উল্টোপাল্টা কথা বলতে শুরু করে এমনকি ‘পাপ’ নিয়ে বেড়ে
বেড়াচ্ছে এরকম কথা বলতেও বাকি রাখে না তখন স্রোত মাকে বলে, আমাদের কলেজের হাসপাতালে চলে এসো না হলে হয়ত আর দিদি ভাইকে শেষ দেখাটাও দেখতে পাবে না। এই কথাটা যখন রাইয়ের দাদাকে তার মা বলে, তখন রাইয়ের দাদা বলে এখন পরিস্থিতি ম্যানেজ দিচ্ছে এইসব কথা বলে! এসব কাজ করতে গেলে একটু বিপদের ঝুঁকি থাকে তাই!
আরও পড়ুন : দিতি করবে তাসাপার্টি! নাচনেওয়ালি সেজে গেল কাব্য! মালাবদলের নতুন প্রোমো!
কিন্তু দর্শক বলছেন যে অনির্বাণ ভুল বুঝতে পারে, তার ভুল বোঝাটা স্বাভাবিক! কিন্তু রাইয়ের মা ,দাদা তারা কি করে বারবার একই ভুল করছে তারা কি নিজেদের বাড়ির মেয়েকে জানে না? বিশেষত একজন মা হয়ে কী করে মেয়ের বিষয়ে এরকম উল্টোপাল্টা কথা বলতে পারেন?
তাও আবার প্রকৃত ঘটনা না জেনে একটা বাইরের লোকের মুখ থেকে শুনে! বারবার সকলে নিন্দা করছেন রাইয়ের মা চরিত্রটির এবং তারা বলছেন এ কেমন ধরণের মা? মেয়ের কোন বড় রোগ হতে পারে এই কথাটা একবারও ভাবলেন না তিনি।