লিভ লেটারের বাহানা করেই কি রাইকে নিজের কাছে আটকে রাখবে অর্নিবান?-মিঠিঝোরাতে নতুন টুইস্ট!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো মিঠিঝোরা। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে,স্রোতের কাছে সমস্ত কথা শোনে রাইকে আবার অফিসে ফিরিয়ে নিয়ে আসলো অর্নিবান। রাত্রে বেলায় রাইয়ের কাছে তার মনের সব কথা শোনার পর, পরের দিনই কাউকে কিছু না জানিয়ে স্রোত অর্নিবানের অফিসে যায় আর সেখানে গিয়েই সে অর্নিবানের কাছে জানতে চায়, সে কেন তার দিদিকে জন্মদিনে নিয়ে গিয়েছিলো?
অর্নিবান রাইকে বলে, যে, সে রাইকে পছন্দ করতো, কিন্তু যখন সে জানতে পারে শৌর্যের কথা আর সবাই যখন রাইয়ের সম্বন্ধে বলে তখন সে পিছিয়ে আসে।
স্রোত তখন বুঝতে পারে রাইয়ের বিপক্ষে কারা অনির্বাণকে বলেছে। স্রোত বলে,আমি জানি কারা বলতে পারে দিদিভাইয়ের সম্বন্ধে, ওরকম ২ জনই আছে,আমার নীলু দিদি আর শৌর্য দার পরিবারের লোক। এরপরই অর্নিবান জিজ্ঞেস করে শৌর্যের সাথে রাইয়ের বর্তমান সম্পর্ক কেমন? তখন স্রোত বলে,আগে ভেবেছিলাম আপনাকে বলবো, কিন্তু আর বলবো না।
আর হ্যাঁ আমি জানি আপনি কেন একথা বলছেন? আপনি আসলে ভাবছেন আমার দিদির সাথে শৌর্যদার ফিজিক্যাল রিলেশনের কথা, তবে আমি বলতে পারি ওটা হয় নি, কারণ যদি হতো তাহলে দিদিভাই কখনো নিজের বোনের বিয়ে শৌর্যদার সাথে দিতো না, ও নিজেই করতো।
স্রোত এরপর অনির্বাণ কে বেশ করে কথা শোনায় আর বলে, আমার এই কথাগুলো শুনে আপনি আবার যেন আমার দিদিভাইকে বিশ্বাস করে বসবেন না, কারণ আজকে আমার কথা শুনে বিশ্বাস করবেন আবার কালকে অন্যের কথা শুনে অবিশ্বাস করবেন, তাই শৌর্যদার সাথে দিদিভাইয়ের বর্তমান কী রিলেশন সেটা সেটা আপনি নিজেই খোঁজ নিন।
ওদিকে রাই যখন নতুন অফিসের জন্য বের হবে তখন অর্নিবান সেখানে এসে হাজির হয় এবং সে রাইয়ের হাত ধরে, তাকে তার নতুন অফিসে ছেড়ে দেওয়ার নাম করে নিজের অফিসেই নিয়ে চলে যায় আর সেখানে গিয়ে রাইকে বলে, তোমার কিছু সই বাকি আছে, সেগুলো করে দিয়েই তুমি চলে আসবে।
আরও পড়ুন : ফুলকির খাবারে ড্রাগস দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরল শালিনীর লোক!
এরপর রাই ভেতরে গেলে অর্নিবান তাকে ২ দিনের লিভ লেটার ধরিয়ে দেয়, কারণ সে শুক্র ও শনি, ২ দিন অফিসে আসে নি। দর্শক মনে করছেন যে, এই লিভ লেটারের বাহানা করেই অর্নিবান রাইকে আটকে দেবে।
