বাংলা সিরিয়াল

শৌর্য ভালো মানুষ বলেই নীলুকে ঘাড়ে গছিয়ে নিয়েছে!আর আজ কোন প্রমাণ ছাড়াই শৌর্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালো রাই!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা দেখতে দেখতে এতদিন দর্শক বলতেন যে, রাই ভালো কিছু দর্শক বলতে নীলু ভালো।

কিছু মানুষ বলতেন, রাই খারাপ, কিছু মানুষ বলতেন নীলু খারাপ। কিন্তু বর্তমানে ধারাবাহিকটা এমন একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে দর্শকের মধ্যে সবাই রাই, নীলু অনির্বাণ সবাইকেই খারাপ বলছেন, দর্শকের বক্তব্য এই ধারাবাহিকে যদি সৎ ভালো চরিত্র কেউ হয়ে থাকে তাহলে সে শৌর্য! ব্রেকআপ হওয়ার পর যেখানে একজন অন্যজনের মুখ দেখে না সেখানে রাই তাকে রীতিমতো ঠকিয়েছে আর তারপরেও সে রাইয়ের বোনকে মেনে নিয়েছে।

ধারাবাহিকের এখানেই শেষ নয়, গল্পের মধ্যে আরো দেখা গেছে যে রাই যখন নিজের বোনকে ধোয়া তুলসী পাতা জেনে শৌর্য কে দোষের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে এবং যাবতীয় অন্যায়ের দায়ভার তার মাথায় চাপিয়ে দিয়েছে তখন কিন্তু শৌর্য ঠান্ডা মাথায় ভেবেছে যে তারপর কর্তব্যকর্ম কী হওয়া উচিত! তাই সে ভেবে ঠিক করেছে যে, তার নিজেরই উচিত রাই ও নিজেকে কলঙ্কমুক্ত করা আর সেই অনুযায়ী স্টেপ নিতে শুরু করেছে সে।

আরও পড়ুন : আদৌ কি বাস্তবে শৌর্যের মতো ছেলে হয়?এত কিছুর পর‌ও শৌর্য গেছে অনির্বাণের বাড়ি ,রাইয়ের মান বাঁচাতে!

এই সব দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“অনির্বাণ রাইয়ের খুব বেশি দিনের পরিচয় ব্যপারটা এরকম না , তারপরেও রাইকে অনির্বাণ বিশ্বাস করেনি বলে দর্শক কিন্তু অনির্বাণের ওপর বিরক্ত । তবে আমার প্রশ্ন হলো রাইতো অনেক বছর ধরে শৌর্যকে চেনে ।

রাইয়ের মতে শৌর্য ভালো ছেলে বলেই নিজের বোনকে সুযোগ মতো শৌর্যের গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছে । যদিও রাইয়ের মতে এটা just একটা “ভুল” ছিলো কিন্তু আমার দৃষ্টিতে এটা একটা অন্যায়, ঠকিয়েছে রাই শৌর্য কে। আর শৌর্য ভালো মানুষ বলেই নীলুকে ঘাড়ে গছিয়েও নিয়েছে , এটা সত্যি যে ইচ্ছে করলেই শৌর্য অবশ্যই এই বিয়ে অস্বীকার করে বাড়ি চলে আসতে পারতো কিন্তু সেক্ষেত্রে নীলু লগ্ন ভ্রষ্টা যেমন হতো তেমন বদনাম ও হতো।”

ঐ দর্শক আরো বলেছেন যে, শৌর্য ই এই পুরো ধারাবাহীকে নিজের জীবনের সবথেকে বড় আত্মত্যাগ করেছে,সেইদিক থেকে রাইয়ের আত্মত্যাগ কষ্ট খুবই ছোট কারণ সে নিজেই শৌর্য কে ঠকিয়েছে শৌর্যর সাথে সে ভুল নয় অন্যায় করেছে। ঐ দর্শকের কথায়,

আরও পড়ুন : এই মুহুর্তে বাংলা টেলিভিশনের সবথেকে বড় ছাগল!আগে ভাবতাম রোহিতটাই বোধহয় সবথেকে বড় গাধা, কিন্তু এই অনিকেত আমার সমস্ত ধারণাকে একেবারে ভুল প্রমাণিত করে!

“যেই ছেলে এতো স্বার্থ ত্যাগ করেছে সেই ছেলেকে যা নয় তাই শুনিয়ে এলো। অনির্বাণ যদি দোষী হয় তাহলে রাই মহা দোষী ।এতোদিন ধরে চেনা ছেলেকে কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এমনকি এটাও বলতে ছাড়লোনা তার বোন নীলু ধোয়া তুলসি পাতা , আর নীলুর বিরুদ্ধে আনা সবগুলো এলিগেশন নাকি মিথ্যে অর্থাৎ শৌর্য মিথ্যেবাদী ।

Friday এপিসোড আজকে দেখলাম আমি আর সত্যি বলতে এখন আমার তিলমাত্র রাইয়ের জন্য কষ্ট হচ্ছেনা ,রাই অনি দুটোই এক। মাঝখান থেকে জীবন নষ্ট হয়ে হলো শৌর্যের । এই নীলুকে কখনো না ফিরিয়ে নিয়ে নতুন ভাবে রাইয়ের চোখের সামনে দিয়ে একটা সুন্দর জীবন যদি কাটাতে পারে শৌর্য তাহলে অনেক খুশি হতাম আমি”

Related Articles