পরিস্থিতির কারণেই ন্যাকা মেয়ে থেকে মিলি সাহসী প্রতিবাদী হয়ে উঠল!সত্যিই মিলি বেস্ট!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো মিলি। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, মিলি ছোট থেকে খুব সহজ সরল পরিস্থিতির মধ্যে বেড়ে উঠেছে, সে যখন যেটা চেয়েছে সেটাই পেয়েছে, কোনো চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে কখনো তাকে পড়তে হয় নি,এই কারণে তার চরিত্রের মধ্যে ওই ন্যাকা বোকা ব্যাপারটা রয়ে গেছে। সে খুব বোকা বলেই রাহুলের মত একটা ছেলেকে সে অন্ধের মত বিশ্বাস করে, অর্জুন তাকে অনেক বুঝিয়েও বিশ্বাস করাতে পারে নি যে, রাহুল আসলে তাকে ভালোবাসে না, রাহুল তার সাথে অভিনয় করছে।
রাহুলের সত্যিটা অর্জুন তাকে বোঝাতে না পারলেও অর্জুন যে সত্যি মিলিকে কেয়ার করে এটা মিলি বুঝতে পেরেছিলো! সেই কারণে মিলিকে কিডন্যাপিং এর দায়ে যখন পুলিশ অর্জুনকে অ্যারেস্ট করে তখন মিলি বারবার পুলিশের কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছে অর্জুনকে ছেড়ে দিতে।
কিন্তু তার অনুরোধে কোন কাজ হয় নি। উপরন্ত অর্জুনের সাথে হওয়া অত্যাচারের মাত্রা যেন আরও বাড়তে থেকেছে। মিলি যখন শুনেছে, তার বাবা কাউকে ফোনে বলছে অর্জুনকে আর কোর্টে তোলা হবে না, অর্জুনকে রাত্রেই থানায় মেরে ফেলে রাখা হবে,তখন মিলি খুব চিন্তায় পড়ে যায়, যে কোনো ভাবে অর্জুনকে ছাড়াতে সে ব্যস্ত হয়ে ওঠে!
যখন কোনো ভাবেই সে অর্জুন কে ছাড়াতে পারে নি, তখন মিলি প্রেস কনফারেন্স ডেকে, সকলের সামনে বলে যে, অর্জুন তাকে কিডন্যাপ করে নি, সে অর্জুনকে ভালোবাসে তাই তারা নিজের ইচ্ছায় পালিয়েছিলো।
এই কথাটা বলার পর স্বাভাবিকভাবেই সবাই মিলির উপর ক্ষেপে যায়, মিলির উদ্দেশ্যে ঢিল ছুঁড়তে শুরু করে, কিন্তু মিলি নিজের জায়গা স্টিক ছিল। মিলি চরিত্রের এই পরিবর্তন দেখে সবাই খুব খুশি হয়ে যায়, বিশেষত দর্শক প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আমি মনে করি matured হতে age matter করে না। Matter করে পরিস্থিতি। একটা মানুষ তখনই matured হয় যখন সে বিভিন্ন পরিস্থিতি face করে। মিলির ক্ষেত্রেও তাই। মিলি নিজের লড়াই নিজেই লড়েছিল। একটা নেক়া মেয়ে থেকে একজন সাহসী, প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিল। সত্যিই মিলি best ”