Mili Serial: নায়িকা প্রধান ধারাবাহিকের মধ্যে মিলির অর্জুন হয়ে উঠছে কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দু! খেলাঘরের শান্টুর সাথে মিল পাচ্ছেন দর্শক!
বর্তমানে ধারাবাহিক মানেই নায়িকা প্রধান ধারাবাহিক। নায়িকা একাই সব বাজিমাত করে ফেলছে, কখনো দেখা যাচ্ছে গরীব ঘরের অশিক্ষিত একজন মেয়ে নায়িকা, সে শহরে বউ হয়ে যাচ্ছে আর তারপর বড়লোক শিক্ষিত মানুষদের মুখের ওপর ঠিকঠাক জবাব দিচ্ছে। এমনকি টালমাটাল হয়ে যাওয়া বা শেষ হয়ে যাওয়া ব্যবসাও সামলে নিচ্ছে দুদিন ইংরেজি পড়ে। কখনো বা দেখা যাচ্ছে নায়ক কে বড় কোন ষড়যন্ত্রে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রের হদিশ নায়ক বা তার পরিবারের কেউই বুঝতে পারছে না, কিন্তু দুদিন গ্রাম থেকে শহরে উঠে আসা নায়িকা সে কিন্তু ঠিক নায়কের বিপদের আঁচ করে ফেলছে। এইভাবে প্রত্যেকটা ধারাবাহিকেই নায়িকাদের মহিষাসুরমর্দিনী রূপে তুলে ধরা হয়, সে যেন দশভূজার মত একা হাতে সংসারও সামলায় আবার ব্যবসা ও সামলায় আবার পরিবারের কারো বিপদ হলে সে নিজেই ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। এইসব দেখতে দেখতে মানুষ যখন ক্লান্ত তখন জি বাংলায় একটি নতুন ধারাবাহিক এলো, এই ধারাবাহিকের নাম মিলি।
এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে এপিসোডের শুরুতেই ধারাবাহিকের নায়ক জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে। জেলের সবাই যখন চাইছে অর্জুনের মত একজন মানুষ আর দ্বিতীয়বার যাতে জেলে না আসে তখন জানা যাচ্ছে অর্জুনের একটা বড় লক্ষ্য আছে যে লক্ষ্য পূরণ হলে তাকে আরো একবার জেলে আসতে হবে। ধারাবাহিকের এই যে ধামাকাদার টুইস্টিং গল্প যা দেখার পর এই ধারাবাহিকের নায়ক চরিত্র নিয়ে দর্শকের মনে একটা স্বাভাবিক কৌতূহলের জন্ম হয়েছে। এই রকম কৌতুহল কিন্তু এর আগে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক খেলাঘরের শান্টুকে দেখে হয়েছিল। নায়িকা পূর্ণার পাশাপাশি শান্টু চরিত্রটি নিয়েও সেইসময় দর্শকদের মনের মধ্যে একটা আলাদা উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছিল। দর্শকদের কথায় এই অর্জুন চরিত্রটা দেখার পরেও শান্টুর মতোই ফিল আসছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে ,“এই হলো মিলি ধারাবাহিকের নায়ক অর্জুন। অর্জুনকে দেখার পর থেকে অনেক প্রশ্ন মনে উঁকি দিচ্ছে। কে এই অর্জুন ? কেন সে এতটা কঠোর কোন প্রতিশোধ এর আগুন জ্বলছে তার চোখে ?কেন সে জেলে সে কি সত্যি কোনো অপরাধী নাকি পরিস্থিতি তাকে অপরাধী বানিয়েছে ? কি এমন লক্ষ্য আছে তার, যেটা পূরণ হলে তার জন্য অনেক বড়ো জেল অপেক্ষা করছে? তবে একটা জিনিস বোঝা যাচ্ছে সেটা হলো যে এই অর্জুন কোনো দিন বড়ো কোনো অন্যায়ের স্বীকার হয়েছিল আর আজ সেই অন্যায়ের প্রতি কার করার রাস্তাটাই খুঁজছে। অর্জুনের বাবা বড়ো পুলিশ অফিসার ছিল তাহলে অর্জুন গুন্ডা হলো কি করে ? মিলির পরিবারের সাথে আর রাহুলের সাথে অর্জুন এর কোনো শত্রুতা আছে ?? খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে মিলি
অনুভব দার অভিনয় দেখে পুরো মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। এখন থেকে রোজ রাত 9 টায় মিলি দেখব !!”
