চমক সৃষ্টি করে জি বাংলার ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে। দর্শকমহলে প্রত্যেকদিন সন্ধে ছটা থেকে দর্শকরা টেলিভিশনে এই ধারাবাহিক দেখতে বসে যান। কিছুদিন আগে এই ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। আবার শোনা যাচ্ছে, নাকি নতুন বছরে এই ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাবে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। তবে তার আগে এই ধারাবাহিকে চলছে বেশ দুর্দান্ত এপিসোড।
নিজের মায়ের পেটের দিদি যে এতটা শয়তানি করে নিজের বোনের ক্ষতি করতে পারে তা হয়তো ময়ূরীকে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না। মেঘ নিজের ছোট বোন হওয়া সত্বেও তার প্রতি হিংসা আক্রোশ থেকে চরমতম সর্বনাশ করেছে ময়ূরী। মেঘের জীবনটাকে কার্যত বিষিয়ে দিয়েছে সে। জিষ্ণুর সঙ্গে মেঘের সম্পর্ক নিয়ে প্রথম থেকেই নোংরা মন্তব্য করতে ময়ূরী।
আরও পড়ুন : বাবুউউর মায়ের চরম বিপদ! ল্যাপটপের মাধ্যমেই পর্দাফাঁস হবে ঈশার? পর্ণার বড়ো পদক্ষেপ
এবার সবটা হাতেনাতে প্রমাণ করে দেখিয়েছে ময়ূরী, কিন্তু পুরোটাই তার আর রূপের চক্রান্ত। চক্রান্ত করে মেঘের পানীয়র মধ্যে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দিয়ে তাকে নেশাগ্রস্থ করে তুলে, জিষ্ণুর সঙ্গে জড়িয়ে মেঘের চরিত্রে কালি ছিটিয়েছে ময়ূরী।
সেই সমস্ত খবর টিভিতে দেখানো তো বটেই এমনকি খবরের কাগজে পর্যন্ত ছাপানো হয়েছে। প্রতিবেশী বাড়ি বয়ে এসে অপমান করে যাচ্ছে। এই সমস্ত দেখে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ অবলম্বন করে মেঘ।
তবে মেঘের বাবা এই চক্রান্তের পেছনে যে আছে তাকে ছেড়ে দেবে না। সে যদি খুব কাছের মানুষও হয় তবে সেও শাস্তি পাবে। এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বাবার কথা শুনে একদম ভয়ে কাঁটা হয়ে গিয়েছে ময়ূরী। মেঘের গুরুজি এই বিষয়ে সাহায্য করবে।
তবে বিষয়টা যাতে আর পুলিশ অব্দি না করাই তার জন্য বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করে ময়ূরী। অনিন্দ্য বাবু এই সমস্ত কথা শুনতে নারাজ। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এর শেষ দেখে তবে তিনি ছাড়বেন। বাবার কাছে এই কথা শুনে ভয় পেয়ে যায় ময়ূরী।
