আসল অপরাধীকে চিহ্নিত করলো অনির্বাণ! শিমুলকে বাঁচিয়ে প্রতীক্ষাকেই শাস্তি দেবে আদালত?
কথায় বলে, বোবা মানুষের শত্রু হয় না। অথচ প্রতিবাদী মানুষের চারিদিকে শত্রুর অভাব নেই। তেমনটাই দেখা যাচ্ছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায়।
ভালো মানুষদের উপর একের পর এক বিপদ নেমে আসে কিভাবে, সেটাই দেখানো হয়েছে এই ধারাবাহিকে। পরাগের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাবার পরেও শাশুড়ি আর ননদের মুখের দিকে তাকিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই রয়ে গিয়েছে শিমুল। আর এখন প্রাক্তন স্বামীকে বিষ খাওয়ানোর মিথ্যে অপবাদে জেল খাটতে হচ্ছে তাকে।
ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট অনুযায়ী, শিমুলকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছে পলাশ প্রতীক্ষা আর পরাগ। শিমুলকে বিশ্বাস না করে এখন দুই ছেলে আর বৌমার স্বপক্ষে কথা বলছেন শিমুলের শাশুড়ি মধুবালা।
তিনিও মনে করছেন যে শিমুল দোষী। সেই পরাগকে বিষ খাইয়ে মারতে চেষ্টা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে শিমুলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তার বাপের বাড়ির লোকজন। শুধুমাত্র তার পাশে রয়েছে পাড়ার বন্ধুরা আর শতদ্রু।
এরই মধ্যে কোর্টে মুখোমুখি দুই পক্ষ। শিমুলের পক্ষে রয়েছেন আরাধনা, অন্যদিকে পরাগের পক্ষে রয়েছেন অনির্বাণ। ধারাবাহিক যারা প্রতিদিন দেখেন তারা বুঝতেই পারছেন যে, অতীতে আরাধনা অনির্বাণ এর মধ্যে কিছু একটা সম্পর্ক ছিল।
তাই শিমুল নির্দোষ এটা বুঝতে পেরেও শুধুমাত্র আরাধনাকে হারানোর জন্য পরাগের কেস নিয়ে নেয় অনির্বাণ। শুনানির দিন কাঠগড়ায় তোলা হয় শিমুলকে। এই দেখে শিমুলের বন্ধুরা খুবই কষ্ট পায়।
করতে মুখোমুখি হতেই শিমুলকে অপরাধী বলে সম্বোধন করে অনির্বাণ। তখনই বাধা দেয় আরাধনা। অনির্বাণ বিচারককে বলে, বর্তমানে তার কাছে কোনো তথ্য প্রমাণ না থাকলেও শেষ দিন সে সবটাই প্রমাণ করে দেবে।
তাই দর্শকরা মনে করছেন, শেষ দিনের শুনানিতে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে অনির্বাণ। পরাগের আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করে শিমুলকে বাঁচাবে সে। দেখাই যাক দর্শকদের অনুমান কতটা সত্যি হয়।