বাংলা সিরিয়াল

অনিকেতের বোনের জন্যই অনিকেত বুঝলো শ্যামলী কিঞ্জলের মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়! নৈলে শ্যামলীর অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেত!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে ’। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে শ্যামলী পাহাড়ে একটি ভাতের হোটেল চালাতো, সেই ভাতের হোটেল এর রোজগার থেকেই চলতো তাদের সংসার কিন্তু তা সত্ত্বেও তার ভাইদের সংসারে তার বিন্দুমাত্র সম্মান ছিল না!

তার ভাইরা উঠতে বসতে তাকে অপমান করতে অসম্মান করতো, এরপর একদিন তার চরিত্রের বদনাম দেওয়া হয়, সেই সময় মাস্টারমশাইয়ের সৎ উপদেশ শুনে সে প্রথমবার সাহসী হয়ে বাড়ি ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কিন্তু কলকাতায় তার যেখানে ওঠার কথা ছিল সেই ঠিকানা সে ট্রেনের মধ্যে হারিয়ে ফেলে। এরপর কলকাতা শহরে এ রাস্তা ও রাস্তা ঘুরতে ঘুরতে সে যখন কিছু খারাপ লোকেদের হাতে পড়ে তখন সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচার সময় সে মুখোমুখি হয় অনিকেতের।

অনিকেত এরপর শ্যামলীকে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়, তার বাড়িতে আশ্রয় পায় শ্যামলী কিন্তু শ্যামলীকে ভালোবেসে ফেলে অনিকেতের ভাই কিঞ্জল।

আরও পড়ুন : ৩২ বছর পর কোজাগরীর দাম্পত্যে জীবনের দ্বন্দ্ব এবার কোকো আর টিটোর জীবনে!

এরপর কিঞ্জলের মৃত্যু হলে সবাই শ্যামলীকে ফাঁসিয়ে দেয় কিঞ্জলের মৃত্যুর জন্য, এরপর শ্যামলী নির্দোষ প্রমাণিত হলেও কিঞ্জলের মায়ের কথা শুনে শ্যামলী আত্মঘাতী হতে চায়, তখন অনিকেতের মাকে পুলিশ অ্যারেস্ট করলে মাকে ছাড়াতে অনিকেত বিয়ে করে শ্যামলীকে! কিন্তু শ্যামলীকে ছাড়ানোর ক্ষেত্রে এবং নির্দোষ প্রমাণ করার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করেছে অনিকেতের বোন!

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আজ অনিকেতের বোন এসে অনিকেতকে বোঝাতে সক্ষম হলো যে শ্যামলী কিঞ্জল কে মারতে পারে না।সে আরো বলে যে যে মেয়ে নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অনিকেত কে বাঁচায় সে কখনো কারোর প্রাণ নিতে পারে না।যে মেয়ে একটু জোড়ে কথা বললে ভয় পেয়ে যায়।

আরও পড়ুন : প্রধান চরিত্রই রাই আর শৌর্য! নীলুই ভিলেন মিঠিঝোরা তে

রাস্তায় হারিয়ে গেলে বাড়ি ফিরে আসতে পারে না তার পক্ষে কি করে জানা সম্ভব যে ওখানে জল কখন ছাড়া হবে।যে জল ছাড়ার কথা গ্রামের লোকেদের পক্ষে ই জানা সম্ভব নয়,সেই কথা শ্যামলী কি করে জানবে।
সত্যি ই অনিকেতের বোন বুদ্ধিমতি,আর শ্যামলীকে ও চিনতে পেরেছে তাই এই কথা গুলো অনিকেতকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে।
ওর অজান্তে ই ত্রিশা আর আরুনাভো কে ভুল প্রমাণিত করতে পেরেছে, না হলে এদের চক্রান্তের কারণে শ্যামলীর বিরাট বড়ো ক্ষতি হয়ে যেতো”

Related Articles