মিমি সিনেমার পুরো কাহিনী ঝেঁপে দিলো কে প্রথম কাছে এসেছির Writer!-কে প্রথম কাছে এসেছি দেখে বলছেন দর্শক?!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল কে প্রথম কাছে এসেছি। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় মধুবনী একজন সিঙ্গেল মাদার, যে একা হাতে বড় করেছে তার মেয়ে মিহিকে। এরপর সে তার একার লড়াইয়ে পাশে পায় ঋকবেদকে। ভালোবেসে ঋকবেদ তাদের বিয়ে করে এবং ঋকবেদ মিহির সব দায়িত্ব নিজে নেয় এবং সে হয়ে ওঠে মিহির পাপা।
মধুবনী ও ঋকবেদের সম্পর্ক যখন একদম ঠিকঠাক হয়ে গেছে তখন গল্পে এন্ট্রি নেয় সৌভিক। এই সৌভিক মধুবনীর প্রাক্তন প্রেমিক। সৌভিককে দেখে প্রত্যেকে ভাবতে থাকে যে মিহির বাবা হয়তো ঐ। এমনকি ঋকবেদ কখনও মধুবনীর অতীত জানতে না চাইলেও এই প্রথম সে মিহির জন্য মধুবনী কে জিজ্ঞেস করে তার অতীত।
মধুবনী তখন বলে তার বাবার কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য ২৫ লাখ টাকার দরকার ছিল যে কারণে সে সারোগেট মাদার হতে রাজি হয়। সৌভিক যখন টাকার পরিমান টা জানতে পারে তখন সে এটাকে ডবল করতে বলে এবং সে বলে সবটা মিটে গেলে সে বিয়ে করবে মধুবনীকে।
এরপর দেখা যায় গর্ভাবস্থার সাত মাসে যখন জানা যায় গর্ভে সন্তান অসুস্থ, তখন মিহির আসল বাবা-মা এই সন্তান নিতে অস্বীকার করে। তারা জানান এত টাকা দিয়ে তারা অসুস্থ সন্তান নেবেন না। ৫০ লাখের মধ্যে মাত্র ৫ লাখ টাকা তারা প্রথমে দিয়েছিল বাদবাকি কোনও টাকা না দিয়ে তারা বিদেশে চলে যায়।
সকলে যখন মিহিকে ফেলে দেয় তখন মধুবনী মিহিকে আপন করে নেয় কারণ সে যে মা। এই মেয়েকে বড় করতে সে দুর্গাপুর থেকে কলকাতায় আসে। সব থেকে বড় কথা হলো সৌভিক যখন টাকা পায় না তখন সেও মিহিকে অনাথ আশ্রমে ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেয় কিন্তু তাতে রাজি হয় না মধুবনী।
আরও পড়ুন : ‘এ কেমন ধরণের মা?’-অনির্বাণের বলা কথাটাই সত্যি বুঝলো রাইয়ের মা! হতবাক দর্শক!
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন এই গল্প দেখে লিখেছেন,“মিমি সিনেমার পুরো কাহিনী ঝেঁপে দিলো কে প্রথম কাছে এসেছির Writer, মধুবনী মিহির Surrogate Mother, তবে এপিসোড গুলো খুব ভালো হচ্ছে”