বাংলা সিরিয়াল

বেশি স্বাধীনতা খুঁজতে গিয়ে সংসার ও ভালোবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন হলো কোজাগরী! সংসারে স্বচ্ছল সব গৃহবধূরাই কি নিজস্ব রোজগার খোঁজে? কোজাগরীর সাথে একমত নন দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো জল থৈথৈ ভালোবাসা। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে কোজাগরী একসময় বাড়ির সবার খুব আদরের ছিলো, সবাই তাকে প্রচন্ড ভালোবাসতো এবং তার কথার গুরুত্ব দিতো তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনতো, ততদিন যতদিন সে বাড়ির সাধারণ একটি গৃহবধূ হিসেবে বাড়িতে ছিলো, কিন্তু একটা সময় পরে তার যখন মনে হলো যে, তার নিজের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের দরকার তার নিজস্ব একটা পরিচিতি হওয়া দরকার। তখন সে সিদ্ধান্ত নিলো, রাস্তার উপরে একটি দোকান খুলবে, একটি ভাতের হোটেল, তখন থেকেই তার পরিবারের সাথে তার ভুল বোঝাবুঝির শুরু।

কোজাগর স্বামী উচ্চশিক্ষিত একজন মানুষ, তিনি প্রফেসর উদ্দালক বসু, কিন্তু নিজের স্ত্রীর এইভাবে বাড়ির বাইরে দোকান করাটা তিনি মন থেকে মেনে নিতে পারেন নি, একইভাবে নিজের মায়ের আসনে বসিয়েছিল কোজাগরী যে শাশুড়ি মাকে সেই শাশুড়ি মা ও বাড়ির বউয়ের গৃহবধূর তকমা ছেড়ে এইভাবে রাস্তার ধারে দোকান খোলা বিষয়টা মন থেকে মানতে পারেন নি। এই লড়াইতে কোজাগরী পাশে পেয়েছে শুধুমাত্র তিনজনকে, একজন তার ভাবী পুত্রবধূ কোকো, অন্যজন তার মেয়ে তোতা আর একজন হল আসমান। এই তিনজন মানুষ শুধুমাত্র সর্বসমক্ষে সব সময় কোজাগরীর পাশে দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন : উড়ন্ত গায়ে হলুদ অতীত! বরকে পাঁজাকোলা করে গায়ে হলুদের ট্রেন্ড চালু মিলি থেকে!

বাদবাকি, ভাতের হোটেল খোলার পর থেকে কোজাগরীকে দুবেলা নিয়ম করে কথা শোনাতে ছাড়ে না। ধারাবাহিকের দর্শকরাও এইকারণে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। কেউ বলছেন কোজাগরী যা করছে তা আসলে নারী স্বাধীনতার দিকে আঙ্গুল তুলছে, কিছু পুরুষ নারী স্বাধীনতার কথা বললেও তারা যে আসলে নারী স্বাধীনতা বিষয়টিকে মন থেকে মানেন না তার উদাহরণ উদ্দালক বসু। কিছু মানুষ আবার বলছেন যে, কোজাগরী যা করছে তা এক অর্থে বাড়াবাড়ি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,
“ সংসারে কোজাগরির তো ভালোই দাপট ছিলো। নিজের ওপরে অনেক অধিকারোও ফলাতো। পুরো সংসাটাই তো উনার মুখাপেক্ষি ছিলো দেখিয়েছে।
উনি নিজেও পাড়ায় রাস্তায় ঘরে বাহিরে যা খুশি তাই করার জন্যে অনুমতি নেবার কোন প্রয়োজনই মনে করতেন না।
সংসারে ওর মতামত ছাড়া কোন সিদ্ধান্তই নেওয়া হতনা। নিজেকে যথেষ্ট স্বাধীন চেতা দেখিয়েছেন।

আরও পড়ুন : সবুজের পরে স্বস্তিক সারাক্ষণ লাভ ইউ লাভ ইউ করে!ব্লুজের সব হিরোই একই অবস্থা!

পরিবারের সকলের থেকে অকুণ্ঠ ভালোবাসার সাথে সন্মানও পেয়েছেন। তাহলে ওনার নিজের অধিকার নিজের পরিচয় খোজার জন‍্য স্বরোজগারের দরকার কেন পড়লো? যারা গৃহবধূ ও পরিবারে স্বাধীন ও স্বামীর টাকায় সচ্ছল তাদের সবারই কি স্বরোজগারের দরকার পড়ে ? নাকি চাইলেই সিরিয়ালের মতো হোটেল রেস্টুরেন্ট চাকরি বা দয়ালু কোনও মানুষের সাহায‍্য সবাই পেয়ে যাবে। মাঝখান থেকে বেশি স্বাধীনতা খুজতে গিয়ে সবার ভালোবাসা ও সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এই ধরনের সিরিয়ালে এই চরিত্রদের না দেখানোই সমাজের জন‍্য ভালো। যা মানুষকে ভূল পথে প্রলুব্ধ করে।”

Related Articles