কোজাগরীর শরীর খারাপ অথচ বাড়ির কেউ তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছে না! জল থৈ থৈ তে অল্প দিনেই বদলে গেল সবাই!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থৈথৈ ভালোবাসা। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে সংসারে কোজাগরী একসময় সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত ছিলো, সেই সংসারে প্রত্যেকটা মানুষ কোজাগরীর কথাকে গুরুত্ব দিত এবং তার মতামত আলাদাভাবে শুনতো, আজ সেই সংসারেই কোজাগরী চূড়ান্তভাবে অবহেলিত হচ্ছেন।
তার যে স্বামী একসময় তাকে মাথায় করে রাখতো, তার যে শাশুড়ি মা বৌমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলো, তার যে ছেলেরা মা বলতে অজ্ঞান ছিল তারাই আজকে কোজাগরীর দিকে ফিরেও তাকায় না! কারণ কোজাগরীর একটি দৃঢ় সিদ্ধান্ত এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে! আসলে কোজাগরী নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলো তাই সে রাস্তার ধারে একটি ভাতের হোটেল খুলে ফেলে! তার এই রাস্তার ধারে ভাতের হোটেল খোলার মানসিকতাটাকে একদমই সমর্থন করেন না, তার শ্বশুরবাড়ির লোক।
এরপর দেখা যায় তার স্বামীর বান্ধবী অপরাজিতা যখন তাদের বাড়িতে আসে তখন অপরাজিতার সামনেই কোজাগরীকে রীতিমতো কথা শোনানো হচ্ছে এবং অপদস্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে নিজের ছেলেরা যেখানে কোজাগরীকে যা তা কথা শোনাচ্ছে, সেখানে আসমান কোজাগরীর কথা চিন্তা করে তোতাকে প্রত্যাখ্যান করছে!
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে
,“আজ কোজাগরী র এতোটা শরীর খারাপ জানার পরেও বাড়ির কেউ এমনকি উদ্দ্যালক বাবু ও কোজাগরী কে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল না।ছেলেদের তো মায়ের সম্বন্ধে এতো নালিশ তারাও অসুস্থ মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা মনেই হলো না,কারণ মায়ের একটাই দোষ মা রাস্তার ধারে ভাতের হোটেল খুলেছে
ছেলের বিয়ের নিমন্ত্রিতদের লিস্ট করা হচ্ছে।
কোজাগরীর আর কোনো জোর বা ইচ্ছে কোনোটাই নেই যে সে তার মতন করে লোকেদের নিমন্ত্রণ করবে।তাই সে ঠিক করেছে পাড়ার কয়েকজন বন্ধু ছাড়া আর কাউকে ডাকবে না।এই ভাবনাটা প্রকাশ করবার আগেই টিটো তার মাকে কতো কথা শুনিয়ে দিল। ভাগ্যের কি নিষঠুর পরিহাস
তবে ভাগ্যের চাকা তো ঘুরবেই তখন বাড়ির সবাই কোজাগরী র সামনে মাথা তুলে কথা বলতে পারবে তো
গতকাল রাত্রি থেকে তোতা কিছু খাওয়া দাওয়া করে নি।মনটা তো সত্যি ই খারাপ হবারই কথা তাই না।
তোতা রুপকে ভুলে আসমানকে তাঁর জীবনে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিল কিন্তু আসমান কোজাগরীর অপমানের কথা ভেবে, আর তাঁর অনিশ্চিত জীবনের কথা ভেবে তোতাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।তাঁতে আসমানের ও কষ্ট কোনো অংশে কম নয়।জানি না কোজাগরী কি এদের মধ্যের আসল কথাটা জানতে পারবে কিনা।
জানি না তোতা বিদেশে চলে যেতে পারবে কিনা”