বাংলা সিরিয়াল

কোজাগরীর নির্বুদ্ধিতার সবচেয়ে নির্মম ও নিষ্ঠুর শিকার তার মেয়ে তোতা ও আসমান! কিছুতেই কোজাগরীর আসমান কে ভুল বোঝা মেনে নিতে পারছে না দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘জল থৈথৈ ভালোবাসা’। এই ধারাবাহিকের কোজাগরী চরিত্রটি দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের এবং প্রিয় ছিলো, কিন্তু এই কোজাগরী চরিত্রটি যেদিন থেকে আসমানকে ভুল বুঝতে শুরু করেছে, সেদিন থেকেই এই চরিত্রটি কোথাও না কোথাও গিয়ে দর্শকের চোখের থেকে অনেকটা নীচে নেমে গেছে!

দর্শক কিছুতেই বুঝতে পারছেন না, কোজাগরী কী করে এতটা অবিশ্বাস করতে পারে আসমানকে? আর কেউ বুঝুক বা না বুঝুক কোজাগরীর অভিজ্ঞ চোখে ধরা পড়া উচিত ছিলো সবটা। অন্যদিকে তোতা চরিত্র টিকেও মেনে নিতে পারছেন না দর্শক।

আসমান নয়তো রূপ এই দুটো মানুষকে ঘিরে যেন পেন্ডুলামের মত ঘুরছে তোতা! দর্শকদের প্রশ্ন কেন? তোতা তো উচ্চশিক্ষিত! তাহলে সে কেন বিয়েটা কে জীবনের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিচ্ছে? সে তো চাইলেই কাউকেই বিয়ে না করে, পড়াশোনা করতে পারে, বিদেশে যেতে পারে, তাহলে?

আরও পড়ুন : দীপার অসহায়তা এবং রূপার কষ্ট দুটোই দেখা যায় না! অনুরাগের ছোঁয়া দেখে বলছেন দর্শক!

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে ,“১) কোজাগরীর জল থৈ থৈ নির্বুদ্ধিতার সবচেয়ে নির্মম ও নিষ্ঠুর স্বীকার তার নিজের অন্ধভক্ত মেয়ে তোতা ও পুত্রসম আসমান। সে এই দুজনের জীবনকে এতো বিষময় করে দিয়েছে, যার বেদনা ও ক্ষত দুজনকে চিরজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।

২) নিজের পরিবারের সকলের তীব্র বাধা ও বিরোধিতা কে অগ্রাহ্য, উপেক্ষা ও বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কোজাগরী আসমান ও তোতাকে কাছাকাছি আসার, পরস্পরকে ভালোবাসার সুযোগ, আশ্রয়,প্রশ্রয় ও সমর্থন দিয়েছিল।
এরপর মেয়ের মনের ভাষা না বুঝে বা আসমানের প্রতি তোতার তীব্র আকর্ষন ও ভালোবাসাকে অগ্রাহ্য, উপেক্ষা করে আবার তোতার সাথে রূপের বিয়েকে সমর্থন করছে।

৩) এরফলে দুটি জীবনের ভবিষৎ যে বিষময় ও বিপর্যস্থ হয়ে গেলো, নির্বোধ কোজাগরী তা বুঝতেও পারেনি।
প্রতিনিয়ত অসহিষ্ণুতা ও অস্থিরতা দিয়ে সকলের সাথে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে চলেছেন।

৪) কোজাগরী পরিচয় ও সম্মানের অন্বেষনে ঘর ছেড়েছিলেন। এখন কোজাগরী ঘরে ফিরবেন কি নিয়ে, এটাই প্রশ্ন।”

আরও পড়ুন : প্রাইম স্লটে জি প্রোডাকশন হাউজ থাকতে জলসাকে আর স্লট পেতে হবে না! ফুলকি,নিম ফুল,কোন গোপনের জয়জয়কার দেখে বলছেন এক জি ফ্যান!

Related Articles