রূপ স্বার্থপর অমানবিক একজন মানুষ! পুরোপুরি তার মায়ের আদলে তৈরি-আসমানের জন্যই রূপের চেহারা প্রকাশ পেল! জল থৈ থৈ ভালোবাসা নিয়ে কী বলছেন দর্শক?
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থৈথৈ ভালোবাসাতে দেখা যায় যে,উদ্যলোক বাবুর জন্য পরীক্ষা দেওয়া হয়নি আসমানের এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আসমান তো তাকে কিডন্যাপ করে কিন্তু তোতার কোন অসম্মান করে না বা কোন ক্ষতি করে না বরং পরের দিন সকালে তোতাকে ঠিক সময় বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে নিজের গাড়িতে করে। কিন্তু ঠিক বিয়ের আগে এরকম একটি ঘটনা ঘটায় রূপ এই বিয়েটা করতে অস্বীকার করে।
তোতা বারবার বলার পরেও রূপ বিশ্বাস করতে পারেনা একজন ঠিক না তার সারারাত তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল অথচ তার কোন ক্ষতি করেনি! তোতা রূপকে নিজের পক্ষটা বিশ্বাসই করাতে পারেনা, ফলে ভেঙে যায় বিয়ে।
কিন্তু দর্শক মনে করছেন এটা সাপে বর হয়েছে, আসমানের জন্য বিয়েটা ভাঙলেও রূপ যে আসলে কতটা স্বার্থপর অমানবিক সেটা বোঝা গেছে! একটা মেয়ে কিডন্যাপ হয়েছে তার কথা না ভেবে তাকে কতটা অসম্মান করা হয়েছে তার কথাই ভাবতে ব্যস্ত! অর্থাৎ নিজের প্রেমিকা নয় নিজের প্রেমিকার সম্মানহানীর বিষয়েই সে অধিক চিন্তিত- এরকম একজন পুরুষের সাথে বিয়ে হলে কিছুতেই সুখী হতে পারতো না তোতা! তাই দর্শক মনে করে যা হয়েছে তা
তো তার জন্য ভালো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“রুপ যেদিন বিদেশ থেকে দেশে ফিরে তোতাদের বাড়ীর থেকে মা র কথায় খাবার ছেড়ে চলে যেতে পারে, সেই দিন থেকেই এই ছেলে টাকে আমার একদম ভালো বলে মনে হয় নি।
আর আজ যে ভাবে আর যে কথা গুলো বললো তাতে মনেই হচ্ছিলো না যে ওরা ভালোবেসে বিয়ে করছে।রুপ এর কথা শুনে মনে হচ্ছিলো যে ওদের বিয়েটা দেখাশোনা করে হচ্ছে।তোতার উপর তো কোনো মানুষিক টান টাইতো দেখলাম না।
ভগবান যা করেন ভালোর জন্যই করেন,আর তাই জন্য ই বিয়ের আগেই রুপের মুখোশ টা খুলে গিয়ে তোতার জীবনটা বেঁচে গেল।
মানুষিকতার দিক থেকে আশমান আর রুপের মধ্যে অনেকটা ই তফাত।আশমান একজন ভালো মনের মানুষ।তার মধ্যে দয়া,মায়া,মমতা,ভালোবাসা,পরোপকারী সব গুণ ই বর্তমান।
আর রুপ স্বার্থপর,অমানবিক একজন মানুষ।কারোর কষ্ট ওর মনকে ছুঁতে পারে না।তার ভালোবাসার মানুষের হাত ছেড়ে সে যে কোনো দিন,যে কোনো পরিস্থিতি তে চলে যেতে পারে,তাতে বিন্দু মাত্র কষ্ট তার হবে না।আসলে রুপ পুরোপুরি তার মায়ের আদলে তৈরি।”