এক একটা চরিত্র আনছে! তারপর হাওয়া হয়ে যাচ্ছে! অপরাজিতা কোথায় গেল?-বলছেন দর্শক!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘জল থৈথৈ ভালোবাসা’। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, আসমান তোতাকে কিডন্যাপ করার পর আসমানের প্রতি তোতা দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ কিডন্যাপিং এর পরেও সে তোতার কোন ক্ষতি করে নি, অন্যদিকে দায়িত্ব সহকারে সে তোতাকে তার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলো।
তবে তোতা আসমানের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়লেও আসমান কিন্তু তো তাকে চিরটা কালের রিজেক্ট করে এসেছে তার কারণ সে চায় নি, তোতার জীবনটা নষ্ট হয়ে যাক।
যে নিজের থেকেও বেশি তোতার ভালো চেয়েছে সেই তোতাই কিন্তু আসমান কে বুঝতে পারে নি। তোতার দাদা টিটো যখন বলেছে আসমান টাকার বিনিময়ে
তোতাকে ছেড়েছে,সেই কথা সে অবলীলায় বিশ্বাস করেছে, তোতার বৌদি কোকোর মনে সন্দেহ এলেও তোতার মনে সন্দেহ আসে নি। অন্যদিকে খিলখিল কিন্তু প্রথম দেখাতেই বুঝতে পেরেছে আসমানকে।
আসমান যে খারাপ ছেলে নয় সেটা খিলখিল বুঝতে পেরেছে আর তাই সে আসমানের পাশে দাঁড়িয়েছে, অন্যদিকে তোতা এবং তার বাড়ির লোক সমানে আসমানকে ছোট করে গেছে। দর্শকরাও মনে করেন একমাত্র কোজাগরী ছাড়া বসু পরিবারে সেভাবে কোন মানুষ নেই যে মাটির মানুষ। বসু পরিবারের মধ্যে থাকা প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই অহংকার সর্বস্ব। ঠিক যেমন কোজাগরীর ছেলে টিটোর আচরণ দেখেই অবাক হয়ে গেছেন দর্শক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আজ টিটোর আচরণ দেখে 12 বছর আগের “কেয়া পাতার নৌকো” সিরিয়ালের কাবুল শেখের কথা মনে পড়ে গেল। টিটোর মানসিকতা অবিকল কাবুল শেখের মত। আর কোকো সেই কিরণমালা আর সুবর্ণলতার মত সর্বশক্তি দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাচ্ছে।
Hats off to Koko. বাস্তবেও এমনটাই হওয়া উচিত। আর ওদিকে উদ্দালক বসুর মুখটা তো আজ দেখার মত ছিল। আসমান আজ উনার থোতা মুখ ভোঁতা করে দিয়ে বেরিয়ে গেছে। সত্যি বলতে বসু পরিবারে কোজাগরী ছাড়া আর একজনকেও আমার মানুষ বলে মনে হয় না।
সর্বদা অহংকারে থিকথিক করছে। নিজেদের মানবিক গুণসম্পন্ন বলে দাবী করা এই পরিবার একটা মেয়েকে রাতে হসপিটালে একা অসুস্থ মায়ের কাছে রেখে শান্তির ঘুম ঘুমোচ্ছিলেন। আর আঁতেল অপরাজিতাই বা এখন কোথায় গেল? এত আগ্রহ করে ময়ূরাক্ষীদের কলকাতায় নিয়ে এসে এখন দায় ঝেড়ে ফেলে পালিয়ে গেলেন কেন?”
একজন কমেন্ট করেছেন যে,“সত্যি কথা এক একটা চরিত্র আনছে তারপর হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। অপরাজিতা কোথায় গেল?আর দেখতে ইচ্ছে করে না। প্রথম প্রথম খুব ভালো লাগতো।”