একেবারে টানটান উত্তেজনা মিঠাইয়ে ; কোনমতেই মিল হচ্ছে না মিঠাই সিদ্ধান্তের! এবার একেবারে সিদ্ধার্থের কাছ থেকে মিঠাইকে কিডন্যাপ করলো গুন্ডারা!
‘এটা তুমি কি করলে?’ – মহাদেবের কাছে আর্তনাদ করে প্রশ্ন করছেন সিদ্ধার্থ। দেখা হয়েও মিল হলো না মিঠাই সিদ্ধার্থের। একদম মুখোমুখি ছিলেন মিঠাই-সিদ্ধার্থ। কিন্তু আবারো মিঠাইকে হারিয়ে ফেলল সিদ্ধার্থ। দীর্ঘ দু বছর ধরে বাংলা ধারাবাহিক জগতের জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে মিঠাই। এখনো জনপ্রিয়তা প্রায় সমান বললেই চলে।
প্রথমদিকে রেকর্ড ব্রেকিং বেঙ্গল টপার হয়েছে এই ধারাবাহিক। তবে সেই জোয়ারে ভাঁটা এসেছে দীর্ঘদিন। আর এখন একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে এই ধারাবাহিকের টিআরপি। তাতে কী? মিঠাই নিয়ে মানুষের উন্মাদনা এখনো একই রকম আছে। এছাড়াও ধারাবাহিকে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। যেমন প্রাইম টাইমের বদলে সন্ধে ছটা থেকে সম্প্রচারিত হচ্ছে এই ধারাবাহিক। শাক্য এবং মিঠির এন্ট্রি হয়েছে গল্পে। যদিও এসব কোনো কিছুই গল্পকে টিআরপি লিস্টে খুব বেশি লাভবান করতে পারেনি।
আর হয়তো সেই কারণেই দর্শকের চাহিদা মেটাতে ধারাবাহিক নির্মাতারা ফিরিয়ে এনেছে মিঠাইকে। বর্তমানে ধারাবাহিক দেখানো হচ্ছে মিষ্টির সাথে এন্ট্রি হয়েছে মিষ্টি নামের একটি বাচ্চা মেয়ের। যার হাত ধরে মিঠাই আর সিড কিছুটা কাছাকাছি এসেছে। তারপরে, মিঠাই এর অনুভূতি অনুভব করার পরেও মিঠাইকে পায়নি খুঁজে সিদ্ধার্থ। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গিয়েছে শিবরাত্রির দিন দেখা হয়েছে মিঠাই সিদ্ধার্থের। শিবলিঙ্গে জল ঢালতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় সে। অজানা অবস্থাতেই তার কাছেই জল নিয়ে আসে সিদ্ধার্থ। তবে এই দেখা একদম ক্ষণিকের।
মুখ না দেখেই সে ম্যাম ম্যাম বলে ডাকতে থাকে। তবে বিদ্যুতের আলোয় সে মিঠাইয়ের মুখ দেখতে পায়। কিন্তু মুখটা দেখে এতটাই অবাক হয়, যে ছিটকে দূরে পড়ে যায় সে। কিন্তু এর পরেই মিঠাই যে বাড়িতে আসছি তো অবস্থায় ছিল সেই বাড়ির ছেলে গুন্ডা ভাড়া করে মিঠাইকে তুলে নিয়ে যায়। আরো কিছু গুন্ডা এসে সিডের চোখে কালো কাপড় বেঁধে দেয় যাতে সে কি হচ্ছে কিছুই দেখতে না পারে। নিজের সবটা ফিরে পেয়েও আবারো নিঃস্ব হয়ে গেল সিড। এবার শুধু এটাই দেখার অপেক্ষা যে কিভাবে আবার মিঠাইয়া সিদ্ধান্তের দেখা হয়। মনোহরাতে আবার আনন্দের আমেজের জন্য অপেক্ষা করছেন সকলে।
