স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘বঁধুয়া’। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, আবির পেখমকে ভালোবেসে বিয়ে করে, কিন্তু বিয়ের পর থেকে আবির লক্ষ্য করে পেখম আবিরের থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখে এই দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারটা আবির ঠিক মত মানতে পারে না, সে মনে করে যে পেখমের মনে হয়তো অন্য কেউ আছে।
কিন্তু যখন আবির এটা জানতে পারে যে পেখমের মনে অন্য কেউ নেই,পেখম আসলে খুব ছোটবেলায় একটা তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলো, তখন আবির সমস্ত কিছু দিয়ে পেখমকে সাপোর্ট করে।
অন্যদিকে পেখম যার বিরুদ্ধে কেস ফাইল করে, সেই রন রে হলো আবিরের জামাইবাবু, তাই পরিবারের মধ্যে আবিরের দিদি পেখম এর বিপক্ষে চলে যায় এবং বঁধুয়া অর্থাৎ পেখমের নানান রকম ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এইসব দেখে বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছেন দর্শক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন দর্শক বঁধুয়া নিয়ে লিখেছেন যে,“এই মুহুর্তে স্টার জলসার ২য় সবচেয়ে জঘন্যতম সিরিয়াল.!” ঐ দর্শক আরো লিখেছেন যে, “মানে আপনারা কেউ যদি বধু নির্যাতন করা শেখার কোর্স করতে চান.! তাহলে এটা খুবই সহজ একটা ব্যাপার, স্টার জলসা খুলে ফেলুন ঠিক সন্ধ্যা ৭:৩০ এর সময়ে প্রতিদিন.!
আর শুধু এটা নয়, যদি কোনো মেয়েও চাও কিভাবে তুমি বিয়ের পরে তোমার শ্বশুরবাড়িে নির্যাতিত, শোষিত, মিউ মিউ করে থাকবে, তাহলে তোমরাও দেখতে পারো.!”
এই ধারাবাহিকে কিভাবে বধূ নির্যাতন কে প্রমোট করা হয় সেটা বলার পাশাপাশি দর্শক বলেন যে পেখম চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী খুব একটা ভালো অভিনয় করতে পারেন না সে শুধুমাত্র কাঁদতেই ওস্তাদ। ওই দর্শকের কথায়,“মানে কিভাবে বাড়ির সবার লাথ ঝাঁটা খাবো, কিন্তু তবুও আমার সংসার আমাদের সংসার করে যাবো, এইসব আর কি.!
একটা জিনিস আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, যে বা যারা লেখক / লেখিকা এই ধারাবাহিকটার, সে মানসিক বিকারগ্রস্ত এক লোক, যে বধু নির্যাতন ইনজয় করে.! কিংবা মহিলা হয় তাহলে সে এক্সাক্ট ঐ পেখমের ননদ শ্রী মেন্টালিটির লোক.! এবার যদি আসি অভিনয়ের বিষয়ে.! আগেও বলেছি এবং এখনও বলছি, ঐ যে মেয়েটা আছে, কি নাম যেন… ওহ তিয়াস.! এই মেয়েটাই প্রমান করে দেয়, যে বাংলা সিরিয়ালের কাস্টিং কিভাবে হয়.!
আর শ্রী, ওভার অ্যাক্টিংয়ের দোকান.! অবশেষে যদি বলি আমাদের পেখমের কথা, আমার তো মনে হয়, যখন অডিশন হয়, তখন শুধু বলা হয়েছিলো…..তুমি কাঁদো, শুধু কেঁদে দেখাও..!! বাকি আর কিছু বলবোনা, কারণ যারা আবার ডাই-হার্ট ফ্যান তাদের লেগে যেতে পারে..!!”
