বাংলা সিরিয়াল

দীপার সাথে অর্জুনকে মিলিয়ে দিয়ে সূর্যের সাথে মিশকার বিয়ে দিয়ে দিক!-তিতি বিরক্ত দর্শক বেঙ্গল টপার জুটির ভাঙ্গন চান!

পরিস্থিতি যাই হোক ধারাবাহিকের নায়ক বা নায়িকা পরিবর্তনের কথায় কখনো কেউ সহমত হন না। হয়তো নায়ক নায়িকার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে, হয়তো নায়িকা নায়ককে বারবার ভুল বোঝে,অবহেলা করে, হয়তো নায়ক তিনটে বিয়ে করে, কিন্তু মনে মনে নায়িকাকেই ভালোবাসে,তবু দর্শক সব সময় চান দিনের শেষে নায়ক-নায়িকার‌ই যেন মিল হয়। নায়ক নায়িকার মাঝে যেন তৃতীয় কোন ব্যক্তি না আসে। একমাত্র ব্যতিক্রম ধারাবাহিক হলো অনুরাগের ছোঁয়া। এক সময় কার বেঙ্গল টপার এই ধারাবাহিক বঙ্গ সেরা সূর্য দীপা জুটির ভাঙন চান দর্শক। কারণ দর্শক তিতি বিরক্ত হয়ে উঠেছে এই জুটির প্রতি।

দীর্ঘ সময় পর যখন সূর্য দীপার মধ্যে থাকা সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান হলো, তখন সূর্যের স্পাম চুরি করে আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হয়ে উঠল মিশকা এরপর মিশকা আর মিশকার ছেলেকে নিয়ে শুরু হল এক নতুন আদিখ্যেতা। বর্তমানে এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে, মিশকা এবং মিশকার ছেলের জন্য সূর্য দীপাকে ডিভোর্স দিচ্ছে। অর্থাৎ সূর্যর কাছে দীপা সোনা রূপা সবার থেকে বড় হয়ে উঠছে মিশকা ও মিশকার সন্তান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন সরাসরি দীপার নায়ক পরিবর্তনের কথা বলে লিখেছেন,“দিপার সাথে অর্জুনরে মিলায় দিক . সুর্য রে মিশকার ই করে দিক। এমন হাসবেন্ড এর কোনো দরকার নেই . দিপা ওর ভালোবাসা ছিলো কিন্তু ওর প্রেগন্যান্সির সময় ওর সাথে ছিলো না। ছোটো বাচ্চা নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছে তবুও সুর্যোর মন একটুকুও গলে নি। ও বলছে দিপা নাকি কবিরের সাথে নোংরামি করে বাচ্চা পয়দা করছে।

মিশকার সাথে তো সুর্য কিছুই করে নি তবুও মিশকা সুর্যের বাচ্চার মা .ওরা সবাই জানে মিশকা কিভাবে মা হয়েছে তবুও লাবন্য আর সুর্য মিশকার জন্য মরে যায়। ওরা বলতেছে এতটুকু বাচ্চা কিভাবে মা ছাড়া থাকবে। কেন যখন তোরা সোনাকে দিপার থেকে আলাদা করছিলি তখন কেমনে ওরা থাকছে। কেন মিশকার জন্য এতো কেয়ার।

দিপা যেমন কষ্ট করছে সত্য থেকেও মিশকা কেনো মিথ্যা হয়েও এতো ভালোবাসা পাবে। ওর জন্য এতো কেয়ারিং কেনো .আর সুর্য ও কেমন মিশকা আর মায়ের জন্য নিজের ভালোবাসাকেও ডিভোর্স দিতে পিছু পা হবে না। লাবন্য এতো পল্টিবাজ কেন। এতদিন তো সোনা রুপা দিদিভাই ছাড়া কিচ্ছু বুঝতো না দিপাকে ছাড়া কিচ্ছু বুঝতো না তবুও এখন দিপা সহ সোনা রুপাকে বাড়ি থেকে বের করার প্রস্তুতি নিতেছে শুধু মাত্র মিশকা আর ওর বেবির জন্য। দিপা মেয়েটা আসলেই নিরীহ।

ছোটো বেলায় মা হারিয়ে সত মায়ের যন্ত্রণা সহ্য করেছে।সত বোন ও কম কষ্ট দেয় নি। একজনের ভালোবাসা পেয়ে সব ভুলে ছিলো। বিয়ে করেছে সুখের দিন তাদের।তবুও শাশুড়ীর যন্ত্রণা। কিন্তু ভালোবাসা পেয়ে সেটাও কিছু মনে করতো না। কারন অন্তত স্বামি ছিলো ঢাল ।

আরও পড়ুন : পরিস্থিতির কারণেই ন্যাকা মেয়ে থেকে মিলি সাহসী প্রতিবাদী হয়ে উঠল!সত্যিই মিলি বেস্ট!

কিন্তু না ভুল বোঝাবুঝি তে সব শেষ হয়ে গেলো। এমন কি বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে প্রেগন্যান্ট অবস্থায়। এত লড়াই শেষে ৭বছর পর আবারো সুখের দেখা মিলেছিলো। শাশুড়ী সাথে ছিলো সাতটা বছর মায়ের মতো ভালোবাসা দিয়ে। সত মা ও ভালো হয়ে গিয়েছিল। সত বোন তো আগেই ভালো হয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু আবারও মেয়েটার জীবনে অশান্তি নেমে আসে। শাশুড়ী ও পল্টি দিলো স্বামী তো থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
শুধু মাত্র নির্সার্থ ভাবে ভালো বেসে গেলো ওর বাবা, ২ দাদা বৌদি। ২ মেয়ে, জয়, উর্মি,কাকিয়া,কাকাই,কাকাতো বোন, শশুর,
শুধু মাত্র এদের কাছ থেকেই ভালোবাসা পেয়েছে। কিন্তু যার ভালোবাসায় ও সব কষ্ট ভুলতো। সেই সুর্য ই আবার ও মেয়েটাকে কষ্টে ফেলে দিলো আবারও।
কি দরকার এমন স্বামীর।

যাই হোক
দিপার সাথে অর্জুন কে মিলায় দিক। অন্তত বেচারা ছোট কাল থেকে ওকে ভালো বেসেছিলো।
সুর্য যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাক।
ও ক্ষমার অযোগ্য
এতো কিছু করার পরও দিপা সুর্য কে মাফ করে দিছিলো
বাট সুর্য আবারও দিপাকে কষ্ট দিয়ে দিয়ে শেষ করে দিতেছে।
সুর্যোর যাতে কোনো অপমান না হয় এজন্য মিশকাকে থামানোর জন্য ওর বাড়িতেও নিয়ে এসেছিলো। বাট এখন স্বামির অপমানের বদলে নিজের সিঁথির সিঁদুর মুছতে চলেছে। কেমন হাসবেন্ড সুর্য .কি দরকার এমন থার্ড ক্লাস হাসবেন্ডের।”

আরও পড়ুন : মিশকার ছেলের কি ভাগ্য! বাবা,মা,ঠাকুমা থেকে শুরু করে মানবদরদী সৎমা ও পেয়েছে!-সোনা রূপা আর মিশকার ছেলের মধ্যে পার্থক্য দেখে হাসছেন দর্শক!

Related Articles