বাংলা সিরিয়াল

ময়ূরাক্ষী,খিলখিলকে কোজাগরীর সংসারেই কেন আনলো অপরাজিতা? কোজাগরীর সংসারে ভাঙন ধরানোই উদ্দেশ্য তার?বলছেন দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থৈথৈ ভালোবাসা এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, কোজাগরীর স্বামী উদ্দালোক যখন নিজের সহকর্মী অপরাজিতা কে নিজের অতীতের কথা বলে, ময়ূরাক্ষীর সাথে তার সম্পর্কের কথা বলে এবং ময়ূরাক্ষীর সাথে সম্পর্কে তার খিলখিল নামের একটি মেয়ে আছে,সেই কথা বলেন।

তখন উপযাজক হয়ে অপরাজিতা ময়ূরাক্ষী কে দেখতে চলে যায় এবং ময়ূরাক্ষীকে দেখতে গিয়ে জানতে পারে যে তার ক্যান্সার হয়েছে কিন্তু সে ট্রিটমেন্ট করতে পারছে না। তখন সে তার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেয়, খিলখিলের সাথে কথা বলে সে জানতে পারে ময়ূরাক্ষী কোনদিনও খিল খিলকে তার বাবার বিষয়ে কোনো কথা বলে নি।

আরও পড়ুন : জি বাংলার অতি সুবিধাবাদী নায়ক রোহিত!প্রাক্তনকে ছাড়তে পারে না! বর্তমানকেও ভুলতে পারে না!বলছেন দর্শক!

এরপর খিলখিল যখন বলে, এই কলকাতায় মায়ের ট্রিটমেন্ট সে কী করে করাবে? কলকাতায় কোথায় থাকবে? কলকাতায় তো তার চেনা পরিচিত কেউ নেই! তখন অপরাজিতা বলে সে তার দাদার বাড়িতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেবে। এই দাদা যে উদ্যালোক বাবু তা বোঝা যাচ্ছে।

এখন দর্শকদের প্রশ্ন হলো এই যে, ময়ূরাক্ষীর প্রতি অপরাজিতার এত উদারতা কেন? কলকাতায় সে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়েও ওঠাতে পারতো ময়ূরাক্ষী এবং খিলখিল কে! সেটা না করে কোজাগরীর সংসারে কেন ওঠানো হলো? তবে কি অপরাজিতার ও দুর্বলতা আছে উদ্দালোকের প্রতি? তাই কি কোজাগরীর সংসারকে ভাঙতে সে মরিয়া হয়ে উঠেছে!

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“ “অপরাজিতা মাসি তো বলেছে ,ওনার দাদার বাড়িতে আমাদের রাখবেন ”

” আপনার দাদার বাড়ি… কে আপনার দাদা ? ”

এই দাদা যে উদ্দালোক বসু , সেটা সহজেই অনুমেয়

আরও পড়ুন : রাই সব দিক দিয়ে শুধু হারালো!বাবার ভালোবাসা,মায়ের স্নেহ সব খুব কষ্ট হয় ওর অভিনয় দেখে! মিঠিঝোরা দেখে বলছেন দর্শক!

অপরাজিতা কেন চাইছে , কোজাগরীর সংসারকে আরো বেশি করে অশান্তির লহরীতে দোলায়িত করতে?

শুধুমাত্র ময়ুরাক্ষীকে সুস্থ করার উদ্দেশ্য থাকলে ,
ডাক্তার দেখিয়ে ,আর্থিক এবং অন্যান্য নানাবিধ সাহায্যের মাধ্যমে ,
খিলখিল আর তার মায়ের কষ্ট অনেকটা লাঘব করতে পারে সে নিজেই ,
প্রয়োজনে উদ্দালোকদাকে জানাতে পারে সমস্ত ঘটনা
কিন্তু বাড়িতে উঠলে , দাদার স্ত্রী , মা , সন্তানদের কাছে কোনভাবেই সবকিছু গোপন রাখা সম্ভব হবে না ,

অন্যদিকে ময়ুরাক্ষীও সম্মুখীন হবে এক সাংঘাতিক বিড়ম্বনার

এই কথাটা কি একজন নারী হয়ে ,অপরাজিতা বুঝতে পারছে না ???

ময়ুরাক্ষী, খিলখিলের সাথে উদ্দালোকের সাক্ষাত অন্যভাবেও ঘটানো যেতে পারে ,
সরাসরি বাড়িতে উপস্থিত না হয়ে

মনে হয় ,অপরাজিতার নিজেরও দুর্বলতা আছে উদ্দালোকের প্রতি ,
তাই হয়ত কোজাগরীর সংসারকে মেনে নিতে পারছে না

অথবা কোন কারণে চাইছে দাদার মুখোশটা উন্মোচিত করে দিতে সকলের সামনে
পরবর্তী পর্বগুলিতে অবশ্য সঠিকভাবে বোঝা যাবে কি ঘটতে চলেছে”

Related Articles