সুধার ডিভোর্সের বিষয়টা অন্য কারোর মাধ্যমে রিভিল করালে এপিসোডগুলো আরও বেশি জমজমাট হতো জেনেও সুধার মাধ্যমেই সত্য প্রকাশ কেন!?
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো শুভ বিবাহ। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, কাননবালা দেবী তার বড় নাতির জন্য সুধাকে পছন্দ করেন। কিন্তু সুধার ইতিহাস সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
সুধার পরিবারের লোকও এত ভালো একটা সম্বন্ধ হাতছাড়া করতে চায় না সেই কারণে তারা কোন কিছুই বলে না কিন্তু সুধা তো অন্য ধরনের মেয়ে সেই কারণে সে বিয়ের রাত্রে বেলায় তার ডিভোর্সের বিষয়টা সবটা জানিয়ে তেজকে চিঠি লিখে দেয় কিন্তু তেজের কাছে সেই চিঠি এসে পৌঁছানোর আগে সেটা বদল করে দেয় ইমান।
এরপর বিয়ের রাতে অনেক বড় ঝড় উঠে যখন সুধার অতীত জানতে পেরে যায় তেজ, সে সবার আগে মিথ্যেবাদী বলে ভেবে নেয় সুধাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালের পর্বে দেখা যাচ্ছে যে সুধা কে নির্দোষ প্রমাণ করতে নিজেই তৎপর হয়েছে তেজ
এবং ছদ্মবেশে চলে গেছে ইমনের অফিসে এবং সেখান থেকে প্রমাণ দেখে সে বুঝতে পেরেছে সুধা সত্যি কথা বলছিল চিঠি বদল করেছে ইমন। এরপর ধারাবাহিকে দেখা যায় ঠাম্মির জন্মদিন পালন করবার জন্য সমস্ত রকম আয়োজন নিজের হাতে করছে সুধা এবং এই জন্মদিনেই নিজের সব সত্যি কথা ঠাম্মিকে বলে দেবে সে।
কিন্তু দর্শক মনে করেন এই বিষয়টা বাংলা সিরিয়ালে বেশ ইউনিক। তৃতীয় কোনও ব্যক্তিকে দিয়ে সত্যি না বলিয়ে সবটা সুধার মধ্য দিয়ে বলানো। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“স্নিগ্ধা ম্যাম চাইলে সুধার ডিভোর্স এর বিষয়টা অন্য কারোর মাধ্যমে রিভিল করাতে পারতো।
আরও পড়ুন : প্রথম কোনো সিরিয়ালে দেখলাম হিরো লোভি, নিজের আসল চাকরি ছেড়ে লোভী ভিলেনদের মতো আচরণ করছে!
এতে এপিসোডগুলো আরোও বেশি জমজমাট থাকতো।
কিন্তু যেটা থাকতো না সেটা হলো সুধা ক্যারেক্টারের পার্সোনালিটি। সুধার ডিভোর্সের ব্যাপারটা ওর নিজের মুখ থেকে রিভেল করিয়ে গল্পের স্বকীয়তা বজায় রেখেছেন স্নিগ্ধা ম্যাম। ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে।”