মৃত্যুর পরও খেল দেখালেন তপন কান্দু! তপন কান্দুর ওয়ার্ডে অক্ষুন্ন রইলো ‘হাত’!, কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতলেন তপনের পরিবারের সদস্য
ঝালদার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগন্নাথ রজককে হারিয়ে ৭৭৮ ভোটে জয় লাভ করলেন ঝালদার নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন। এইবারও হাতের দখলেই চলে গেল ঝালদার তপন কান্দুর ওয়ার্ড। এই জয়কে কাকা তপন কান্দুর জয় বলেই ঘোষণা করেছেন মিঠুন। তার কথায়, এই জয় আসলে তার কাকার জয়, মানুষই তাকে জিতিয়েছেন, মানুষের রায়ে তিনিও খুশি।
গত মার্চ মাসের ১৩ তারিখ রাস্তার মধ্যে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারান ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দু। তার মৃত্যুর পর ঝালদায় তপনের ভাইপো মিঠুন হাত চিহ্নে প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান, ফরওয়ার্ড ব্লকও তাকে সমর্থন করে। অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে জয় হয়েছে মিঠুনের। তবে রাজনীতির ময়দানে হারা জেতা থাকলেও মনের মধ্যে কিন্তু কোন দ্বন্দ্ব পুষে রাখে নি মিঠুন। রবিবার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর সাথে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া থেকে শুরু করে একসাথে তিন প্রার্থী মিলে আইসক্রিম ও দুপুরের খাবার সেরে নেন মিঠুন। মিঠুনের কথায়, “আমরা চাই রাজনৈতিকভাবে আলাদা আলাদা হতে পারি কিন্তু সকলে যেন একসঙ্গে থাকতে পারি।”
একই সাথে নিজের এই জয়ের সাথে কাকা এবং কাকিমার নাম যুক্ত করে মিঠুন বলেন, “এই জয় কাকিমার চোখের জলের জয় কাকার জয়।” অন্যদিকে নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা দেবী জানান,“ এই জয় আমার স্বামীর রক্তের জয় ঝালদার মানুষের জয়। ২ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ মিঠুনকে প্রার্থী করেছিলেন আমিও চেয়েছিলাম পরিবার থেকে প্রার্থী হোক। তৃণমূলের নেতারা চাননি যে আমার স্বামী চেয়ারম্যানের আসনে বসুক। এই ওয়ার্ডের মানুষ তাদের ভালোভাবে জবাব দিয়েছেন।”
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জগন্নাথ বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্ঘাতের কারণে তিনি হেরেছেন কারণ তিনি মোট ১৫২টি ভোট পেয়েছেন যা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না তার কাছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তপন কান্দুর খুনের বিষয়টি বর্তমানে বিচারাধীন। হাইকোর্টে এই মামলা উঠলে বিচারপতি এই কেসে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।