কে প্রথম কাছে এসেছে ছাড়া সব সিরিয়ালেই নায়ক গোমড়া মুখে বিয়ে করতে বসে!নায়িকাকে অবহেলিত দেখতে দেখতেই বড়ো হলাম, বুড়ো হতে চাই না-একঘেয়ে প্লট বদলের দাবি দর্শকের
ধারাবাহিক মানে গল্পের গরু গাছে ওঠে। ধারাবাহিক মানে ধারাবাহিক দেখতে বসে সেখানে যুক্তি বুদ্ধি এই সমস্ত কিছু নিয়ে তলিয়ে ভাবা যাবে না। যুক্তি বুদ্ধি সবকিছু বিসর্জন দিলে তবেই ধারাবাহিক দেখা যাবে না হলে ধারাবাহিক হবে ট্রোল।
ঠিক যেমন আদি অনন্তকাল ধরে ধারাবাহিকের মধ্যে কতগুলো বিষয় খুব চোখে লাগে অথচ বারং বার সেই একই জিনিস প্রত্যেকটি চ্যানেলের প্রত্যেকটি ধারাবাহিকে রিপিট করা হয়। বিষয়টা এতটাই একঘেয়ে লাগে যে দর্শক বিরক্ত হয়ে যান তবু গল্পের প্লট পরিবর্তন হয় না।
একটা সময় ছিল যখন মেয়েরা ঘরের বাইরে বের হতো না, ঘরের মধ্যেই থাকতেন। তখন মেয়েদের উপর অত্যাচারের হার অনেক বেশি ছিল, তখন গল্পগুলি তো দেখানো হতো নায়িকারা সংসার করতে এসে প্রচন্ড পরিমাণে অবহেলিত হচ্ছেন এবং তারপর তারা নিজেরা আসতে আসতে তাদের সমস্ত কর্মকুশলতা দিয়ে সকলের মন জয় করে নিচ্ছেন।
বর্তমানে যুগের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, মেয়েরা আজ একসাথে ঘর বাইরে সামলায়। অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে অনেকেই ডিভোর্স দিয়ে সংসার ছাড়েন। অথচ গল্প গুলোর মধ্যে আজও দেখানো হয় সেই নারী নির্যাতন।
প্রায় প্রতিটি ধারাবাহিকেই দেখানো হয় নায়করা কেউ ইচ্ছায় বিয়ে করেন না। বিয়ের সময় তাদের মনের মধ্যে নয় অন্য কেউ থাকেন নয় রীতিমত বাধ্য হয়ে তারা বিয়ে করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“প্রায় প্রত্যেক সিরিয়ালেই নায়ক নায়িকার এমন পরিস্থিতিতে বিয়ে হয় যার ফলে নায়কের মুখ গম্ভীর থাকে সব সময়।
নায়িকা আগে ভালো বাসে, অবহেলিত হয়। পরে নায়ক নায়িকাকে অনেক কষ্ট দিয়ে,ভুগিয়ে শেষে গিয়ে তার ভালোবাসা বুঝতে পারে। নাইকারাই বেশিরভাগ সময়ে কষ্ট পায়।
এই ট্রেন্ডটার একটু চেঞ্জ হওয়া দরকার। যদিও কিছু কিছু ধারাবাহিকে আমরা ভিন্ন কিছু দেখতে পাচ্ছি(অমরসঙ্গী, কে প্রথম কাছে এসেছি)। এরকম আরো দরকার। নাইকাকে অবহেলিত দেখতে দেখতেই বড়ো হলাম, বুড়ো হতে চাইনা”