পিঙ্কি বৌদি আসলে খারাপ না ভালো?-সেনগুপ্ত বাড়ির বড় বউকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর তর্ক শুরু হল!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক তোমাদের রাণীতে দেখা যাচ্ছে যে পিংকি বৌদি সমস্ত সত্যিটা জানতে পেরে গেছে। সে জানতে পেরে গেছে যে, শম্পাই রানী, রানী বেঁচে আছে। একই সাথে রানীকে ধরতে পেরেও সে কাউকে কিছু বলেনি কারণ
সে রানীকে হেল্প করতে চায়, সে রানীর পাশে দাঁড়াতে চায়, সে এতদিনে বুঝে গেছে যে রানী কে সে যতই খারাপ ভাবুক রানী পরিবারের কোনো মানুষ বা জয়ের কখনো কোনো ক্ষতি করবে না, যেটা যে কোন মুহূর্তে অনিশা করতে পারে। সেই কারণে সে অনেকদিন ধরেই অনিশাকে এভয়েড করতে শুরু করেছে বেসিক্যালি যেদিন থেকে রাণী মারা গেছে বলে শুনেছে।
কিন্তু এরপর যখন সে জানতে পারে রানী বেঁচে আছে তখন তার মুখে একটা স্বস্তির হাসি ফুটে ওঠে। কিন্তু আদপে কেমন মানুষ এই পিংকি বৌদি তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“গত কয়েক দিনের এপিসোড দেখে মনে হচ্ছিলো যে পিংকি বৌদি সব জেনে যাবে,কিন্তু কাউকে কিছু বলবেনা রানীকে সাহায্য করবে ভালো হয় যাবে আমাদের পিংকি বৌদি..
আর আজকের এপিসোড দেখে সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেলো তো যে পিংকি বৌদি ভালো হয় গেছে,,কারোর চোখে পড়েছে নাকি জানি না তবে আমার চোখে পড়েছে যে পিংকি বৌদি যখন রানীকে ফলো করে জানতে পারে যে ওটা রানী তখন পিংকি বৌদির মুখে যে “হাসি” টা ছিল ওটা ছিল ভালবাসা তৃপ্তির আবেশে ভরা আর যায় হোক আমাদের পিংকি বৌদি কিন্তু মানুষ হিসাবে খুব খারাপ নয়,
আরও পড়ুন : দুর্জয়ের অপারেশন করা ডাক্তারকে ধরলো রানী আর রানীকে ধরলো অনিশা!টানটান পর্ব তোমাদের রানী তে!
সে আর যায় করুক রানীকে প্রাণে মারতে চাইনি বা ওই বাড়ির কারোর কোনো ক্ষতি করতে চাইনি,সবার মনে আছে কি না জানি না কিন্তু রানীর কলেজ ভর্তির সময় আনিশা ওকে রানীকে যে ওষুধ টা খাওয়াতে বলেছিল তখন কিন্তু পিংকি বৌদি অনিশাকে বার বার বলেছিল যে “বাচ্চাটার কোনো ক্ষতি হবে না তো” যতই হোক সেও তো একটা মা.. এমনকি সেইদিন যখন শুক্লা বলো যে আনিশার সাথে দুর্জয় এর বিয়ের আয়োজন করার কথা তখন কিন্তু পিংকি বৌদি বলেছিল
“ধুর আমার কু9নয় ইচ্ছাই নেই এসব নিয়ে মাতামাতি করার,আগে রানী ছিল তখন দুই যা মিলে লড়াই করতাম,এখন রানী নেই আমার এসব আর করতে ইচ্ছাই করছে না..” মানুষ হ8সবে খুব খারাপ নয় কিন্তু আমদের প্রিয় “পিংকি বৌদি”।”
একইসাথে ঐ দর্শক মনে করেন যে পিঙ্কি মানুষ হিসেবে অতটা খারাপ নয় সে আজ অব্দি যা কিছু করেছে তা তার জেলাসি এবং ইনসিকিউরিটি থেকে করেছে।ঐ দর্শক আরো লিখেছেন যে,“আজ পর্যন্ত পিংকি বৌদি যা যা করেছে সবটাই ইনসিকিওরিটি, জেলাসি থেকে করেছে ,,
ও ভেবেছে যে রানীকে সবাই বেশি ভালোবাসে রানী ওই বাড়ির ছোট বউ হওয়ার পরেও ওকে সবাই মাথাই করে রাখবে আর পিংকি বড়বৌ হবার পরেও রানী ওকে ওর জায়গার থেকে সিটিয়ে ওদের উপরে কথা বলবে..তাই নিজের জায়গা বাঁচানোর জন্য রানীকে বার বার বাধা দিয়েছে সব কিছুতে, সবার কাছে খারাপ করতে চেয়েছে নিজেকে ভালো প্রমাণ করার জন্য..এছাড়া আর অন্য কোনো কারণ নেই..ও কিন্তু কোনো দিনও রানীকে সরিয়ে দিতে চাইনি..
আরও পড়ুন : রাইকে ভালো লাগলেও সবচেয়ে পছন্দের চরিত্র শৌর্য্য!কারণ মহাভারতের কর্ণের মতোন হতভাগ্য চরিত্র এটা!
কিন্তু আনিশা দরকার হলে পিংকি কেউ মে*রে দিবে,, এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে, তাই অনুশোচনা থেকে আমাদের পিংকি বৌদি এবার সত্যি সত্যি সত্যি বদলে গেছে…তাই আজকে ইচ্ছা করে গ্লাস তো ফেলে রানীকে ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিল…”
এই পোষ্টের কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন যে, “আমরা যারা দুর্বল মনের তারা একটু কারোর ভাল ব্যবহার দেখলেই গোলে যাই আর তার খারাপ কাজটা ভুলে যাই মানছি পিঙ্কি বৌদি এখন ভাল হয় গেছে কিন্তু একটা কথা এখানে লেখা আছে যে ‘ আর যাই হোক পিঙ্কি বৌদি বাড়ির কারোর ক্ষতি করতে চায়নি ‘
ভুলে গেলে নাকি দুর্জয় এর এলার্জি আছে জেনেও তার পায়েসে এলার্জির জিনিস মিশিয়ে দিয়েছিল আর ওরা যখন বাইরে ঘুরতে গেছিল তখন প্রেগনেন্ট অবস্থায় রানীকে ঠেলে ফেলে দিতে গেছিল”
