‘গরিমাকে ভিলেন বলা যায় না!’রোশনাই দেখে বলছেন দর্শক!
একটা সময় ছিল যখন ধারাবাহিকে যাদেরকে খলনায়িকা বলে দেখানো হতো দর্শক তাদেরকেই খলনায়িকা বলে ভাবতেন কিন্তু তারপর মানুষ সুক্ষভাবে বাস্তবের দৃষ্টিভঙ্গিতে সবটা বিচার করতে শিখলেন। যে কারণে ইষ্টি কুটুম ধারাবাহিক দেখলে
আজ বাহাকেই দোষী বলে মনে হয়, মুনকে মনে হয় নির্যাতিতা,চির অভাগী, যার কোন দোষ ছিল না শুধুমাত্র অর্চির খামখেয়ালিপনার শিকার হয়েছিল যে। আসলে ধারাবাহিকটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় যে, মুন কতটা সেক্রিফাইস করে ছিলো! ঠিক একই রকম ভাবে আজ যখন কেউ রোশনাই দেখেন,তখন তার চোখে গ্লোরিফাই হয়ে ওঠে গরিমা চরিত্র।
গরিমা চরিত্র দর্শককে নতুন করে ভাবায় যে সত্যি কি সে খলনায়িকা? তার ভালোবাসার মানুষ তারই চোখের সামনে বদলে যাচ্ছে, একটু একটু করে আরণ্যক গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে রোশনাইকে,আগে যেভাবে গরিমাকে গুরুত্ব দিত
আরণ্যক,আজ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে গরিমা কে ইগনোর করছে সে। যে কারণে দর্শকরা বলছেন যে ওর চরিত্রটা নিয়ে ভাবলে বুঝতে পারি ও যা করছে বা করতে পারে তার সবটাই বাস্তবিক ওর জায়গায় কেউই বিষয়টি মানতে পারত না এত সহজ ভাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“অনেকে বলছে গরিমা চরিত্রটা ভিলেন হবে কিন্তু ও কিভাবে ভিলেন হবে? ছোটবেলায় না বুঝে দেখলে বলতাম ও ভিলেন, এখন বলা যায়- ওর চরিত্র টা আমাদের আর পাচজনের সাথে রিলেট করার মতো! আমরা কেউই ১০০% সাধুমন্ত্রী না নায়ক আর নায়িকাদের মতো,,,
কিন্তু ওর ভালোবাসা হাতছাড়া হচ্ছে দেখে ও যদি নায়িকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাহলে সে ভিলেন? যদি হিরো ওকে ভালো না বাসতো তাহলে ওকে ভিলেন বলা জাস্টিফাই করা যেতো! কিন্তু যেখানে হিরো তার বয়ফ্রেন্ড এবং সে অন্য মেয়ের সাথে ঢ*লাঢ-লি করছে আর সেটা গরিমা দেখছেও, সেসব দেখে সে রিয়েক্ট করবেই! আমি আপনিও করতাম!তাই ওকে ভিলেন বলা যায় না…
হিন্দির আর্শিও তাই, আর্শি দেখতে এতটা মিষ্টি নয় গরিমার মতো! কিন্তু চরিত্রের শেডস সেইম টু সেইম!”