উফফ কি উন্নত টেকনোলজি!কি ইমোশনাল সিন! আমি বাড়িতে রুমাল,গামছা,বড় টাওয়াল সব দিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে খেয়াল করলাম জল আমার মাথায় উঠে গেছে!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো রোশনাই। এই ধারাবাহিকে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে রোশনায় বিবাহিত জানার পর সুরঙ্গনা, গরিমা ও আরণ্যকের পরিবারের সবাই মিলে ঠিক করে ভিডিও কলের রোশনাইয়ের বর আসবে এবং অনলাইনে এসে সে সিঁদুর দান করবে ও এখানে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হবে।
এই পরিকল্পনা মাফিক আরণ্যক ভিডিও কল করেন এবং মাথায় একটা টুপি নিয়ে নিজের ভয়েস চেঞ্জ করে সে ভিডিও কলটি করে, ভিডিও কল করার সময় সে পুরো ঘর অন্ধকার রাখে যাতে তার মুখ দেখা না যায়। কিন্তু এই যে গল্পের কনসেপ্ট যেখানে দেখা যাচ্ছে ভিডিও কলের ওপারে আরন্যক সিদুঁর তুলছে আর এদিকে রোশনাই এর বিয়ে হচ্ছে বিষয়টা নিয়ে
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“কি মনে হল লাঞ্চ করতে বসে একটু মোবাইল ঘাঁটব ,টিভি সম্পূর্ন ভাবে মেয়ের আয়ত্তে তাই তার নাগাল পাওয়া দুরস্ত ৷মোবাইলে ভিডিও দেখতে দেখতে একটু রেলিস করে খাব ভাবলাম ,প্রথমেই ধেই ধেই নাচ করতে করতে #জলথৈথৈ সামনে এলো ,সিরিয়াল আমি দেখি না কিন্তু কমবেশী এই সিরিয়ালের প্রোমো চোখে পড়ে৷ মনে হয় খুব একটা খারাপ নয় ৷
তারপর স্ক্রল করতে গিয়ে এই অদ্ভুত দৃশ্যের সম্মুখীন হলাম ,বাংলা সিরিয়াল এত উন্নত জাস্ট ভাবা যায় না ৷সিরিয়ালে ভিডিও কলে বিয়ে চলছে ৷সিরিয়ালের নাম #রোশনাই ,সে তার আশনাই চরিতার্থ করতে একটি লোককে বিয়ে করছে (সিরিয়ালের গল্প অনুযায়ী ছেলেটি যে বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে তাদেরই এবং যে কিনা তার পুরোনো বর কিন্তু সেটা তার বাড়ির লোক জানে না ) ,ছেলেটির মুখ অন্ধকার শুধু ভয়েস শোনা যাচ্ছে ,ছেলেটি মুখ অন্ধকার করে বিয়ে করছে ,এত এত কথা বলছে কিন্তু তার বাড়ির লোক তার গলা শুনে বিন্দুমাত্র আঁচ ও করতে পারছে না সেটা তাদের ঘরের ছেলে আরণ্যক৷”
ঐ নেটিজেনের কথায়,“ অবশেষে সিঁদুর দান এর সময় এল ,ঠাকুরমশাই ছেলেটিকে বললেন সিঁদুর পরাতে ,শুধু আলোয় ছেলেটির হাত দেখা গেল ছেলেটি হাতটা উঁচু করছে আর এদিকে তার প্রেমিকা সরি অলরেডি বউ সিঁদুর কৌটো নিয়ে মাথায় উপুড় করে দিচ্ছে উফফ কি উন্নত টেকনোলজি !!কি ইমোশনাল সিন !!
আমি বাড়িতে রুমাল ,গামছা,বড় টাওয়াল সব দিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে খেয়াল করলাম জল আমার মাথায় উঠে গেছে তারপর পিঠ দিয়ে গড়িয়ে কোমর দিয়ে গোড়ালীতে নেমে গেছে ,অতঃপর আমি চোখের জলে স্নান করে গেছি ,এখন শাড়ি খুঁজছি মুছবো বলে ,কারুর কাছে থাকলে কুরিয়ার করুন ৷”
তিনি আরো লিখেছেন যে,“ও হ্যাঁ এই সমস্ত ঘটনা ও কর্মকান্ড মাধবী দেবী বসে বসে দেখছিলেন ,হ্যাঁ ওই মাধবী মুখোপাধ্যায় যিনি সত্যজিৎ রায়ের চারুলতা ৷শুধুমাত্র পয়সার জন্য এরা কিভাবে এইরকম বস্তাপচা স্ক্রিপ্টের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ভাবতেও খারাপ লাগে একটা কথাই মনে হচ্ছে অগ্নিশ্বর বাবু বেঁচে থাকলে এই স্ক্রিপ্ট রাইটারকে ঠাস ঠাস ঠাস করে তিনটে চর মারতেন ৷ছিঃ !!#rip_bengali_serial”