বাংলা সিরিয়াল

কোজাগরী চলে গিয়ে কিন্তু উদ্দালক কে একরকম মুক্তি দিচ্ছেন! সংসারের বাইরে নয় সংসারের মধ্যে থেকে কোজাগরী লড়াই করতে পারতো!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘জল থৈথৈ ভালোবাসা’। এখানে দেখা যাচ্ছে যে, কোজাগরী বর্তমানে তার পরিবারের ভয়ংকর রকম ভাবে অপমানিতা এবং অবহেলিতা হচ্ছেন। তার স্বামী, শাশুড়ি, ছেলেদের কাছে তিনি যেমন রীতিমত কথা শুনছেন তেমনি তার স্বামীর জীবনে ময়ূরাক্ষীর আগমন ও কোজাগরীকে অবহেলা করে ময়ূরাক্ষী কে ইম্পর্টেন্স দেওয়া এইসব কিছু কোজাগরীকে অত্যন্ত ডেস্পারেট করে তোলে এবং সে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়।

অনেকে মনে করেন যে কোজাগরীর বাড়ি থেকে চলে যাওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত। প্রতি মুহূর্তে অসম্মানিত হয়ে বাড়িতে থাকার কোন মানে হয় না। তাছাড়া দিনের পর দিন শ্বশুর বাড়িতে থেকে অবহেলিত হওয়ার ও কোনো মানে হয় না। এদের মধ্যে কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন যে,“কোজাগরী তো সম্পূর্ণা।

সে তো অরক্ষিত নয়। জীবনে তো অনেক কিছু পেয়েছে। নতুন করে একটু বাঁচুক না। কোজাগরী বেরিয়ে গেছে এবার সময়ই শেষ কথা বলবে। উদ্দালকের ছেলেরা উদ্দালককে কতদিন টলারেট করবে সেটাই দেখার বাকি। কোজাগরী চলে যাওয়ার পর ঐ সংসার জাহান্নমে যেতে মোটেও বেশি সময় লাগবে না। উদ্দালক বুঝবে স্ত্রীই দুর্দিনের শেষ আলো। ছেলেরাও বুঝবে মা’ই সংসারের গ্রন্থিবন্ধন।

আরও পড়ুন : ‘গীতার হাই ভোল্টেজ পর্ব!কুণাল শীলের অনবদ্য অভিনয়!’গীতা এল এল বির টানটান পর্ব!

শাশুড়িও বুঝবে ভালো মন্দয় মিশিয়ে বাড়ির বৌটাই ছিলো বাড়ির একমাত্র শ্রী। কিন্তু একটা কথা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এখানেও পুরুষতন্ত্র কে হাজির করা হয়েছে। কেনো? একজন উদ্দালক বসুর অসংযমী, বিশৃঙ্খল, দুরাচারী হওয়ার জন্যে একজন ময়ূরাক্ষী কেও তো সমান প্রয়োজন। কোজাগরীর কূল ভাঙতে দেখেও এই বয়সে এসে ময়ূরাক্ষী কেনো নির্বিকার। একটা অবৈধ সম্পর্কের জন্য একজন অধঃগামী পুরুষের সাথে একজন একজন বিপথগামী নারীর ভূমিকাও সমান প্রাসঙ্গিক। তবে সব দায় পুরুষের একার কেনো।”

আর কেউ কেউ মনে করেন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসাটা কোজাগরীর ভুল। কোজাগরী বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিপক্ষকে জিতিয়ে দিয়েছে,এই অংশের মানুষের বক্তব্য,“
কোজাগরী সংসারে ৩২ বছর ইনভেস্ট করার পর , শূণ্য হাতে , তিক্ত সম্পর্ক নিয়ে বাড়ী ছাড়ছে। যে কোনো সামান্য বেতনে অতগুলো বছর কাজ করলেও কোজাগরীর কিছু হয়তো থাকতো।

আত্মসম্মান ব্যাপার টা আসলে কি? আমার স্বামী যে নিজেই মিথ্যেবাদী, সে আমাকে অপমান করলেই কি আমার আত্মসম্মান চলে গেল? আমার ছেলেরা আমাকে অসম্মান করলেই কি আমি অসম্মানিত হয়ে গেলাম? হ্যাঁ দুঃখ তো হবেই বৈকি । কিন্তু আমার মান কি ওরা ঠিক করে দেবে?
কোজাগরী লড়াই কিন্তু ঠিকই করছে, কিন্তু সংসারের বাইরে গিয়ে নিজেকে বিপন্ন করে। এই লড়াই টা সংসারের ভিতরে

আরও পড়ুন : গতকালের পড়া ভুলে গেলেও বছর দশেক আগেকার কিরণমালা ভোলে না দর্শক!-আজও দর্শকের মনের মনিকোঠায় রয়ে গেছে কিরণমালা

থেকে করলে কি ভালো হতো?
কোজাগরী চলে গিয়ে কিন্তু উদ্দালক কে একরকম মুক্তি দিচ্ছেন । জেদের বসে শত্রু কে ছেড়ে দেয়া ভালো নাকি নিজের সংসারে থেকে নিজের সম্মান আর অধিকার টা আদায় করা ভালো?
আমার কেন যেনো মনে হচ্ছে এও এক পুরুষতন্ত্র আর পুঁজিবাদের নতুন চাল, অসম্মান হলে বাড়ী ছেড়ে দাও আর পুরুষ ঝামেলা ফেলে নতুন সংগী বেছে নিক।

সবই তো বুঝলাম কিন্তু আমার ৩২ বছরের মীমাংসা কেমন করে করব? একটা উপযুক্ত কমপেনসেশন কিংবা বদলা তো নিতেই হবে।
কোজাগরীর লড়াই আর হেঁসেল হিসাব তো আজ থেকে , ৩২ বছরের হার তো আমি মানতে পারছিনা !”

Related Articles