পুলিশ হেফাজতে টিকলি! বোনের মুখ চেয়ে আর বোনঝিকে ক্ষমা করেনি শ্রাবণ-শ্রাবণ চরিত্রের এই স্ট্যান্ড দেখে খুশি দর্শক!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক লাভ বিয়ে আজকালে দেখা যাচ্ছে যে, নিজের দিদি আর বোনঝিদের জন্য শ্রাবণ কি না করেছে! ওমকার ঘোষ কে কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ করতে রাজি হয়েছে মাত্র ৬ মাসের জন্য তাও নিজের দিদি আর বোনঝির মুখ চেয়ে!
বার থেকে শুরু করে মাচায় গান গেয়েছে শ্রাবণ শুধুমাত্র টাকার জন্য আর এই টাকাটার তার প্রয়োজন ছিলো তার দিদি এবং বোনঝিদের জন্য। অথচ তার দুই বোনঝির মধ্যে এক বোনঝি টিকলি তাকে সহ্য করতে পারে না,শ্রাবণের জীবন থেকে ওমকারকে পর্যন্ত কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে সে। অনেকবার টিকলিকে ক্ষমা করেছে সে।
কিন্তু সব কিছুরই তো একটা শেষ আছে এইবার আর ক্ষমা নয়, টিকলির করা সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললো শ্রাবণ। নিজের দিদির কথাতেও সে আর ভুললো না, একেবারে পুলিশের হাতে তুলে দিল তাকে। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছেন দর্শক।
আসলে দর্শক ভেবেছিল শ্রাবণ বোধহয় অন্যান্য বারের মতো এইবারও ইমোশনাল ব্ল্যাকমিলের শিকার হবে আর টিকলিকে ক্ষমা করে দেবে, কিন্তু না বারবার বোনের মুখ চেয়ে বোনঝিকে ক্ষমা করে দিলেও এইবার শ্রাবণ শক্ত হয়েছে যে কারণে পুলিশের হেফাজতে চলে গেছে টিকলি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আজকের এপিসোডে টিকলির অবস্থা আর ও খারাপ। একদম মিস করবেন না আজকের এপিসোড লাভ বিয়ে আজকাল।
প্রথম চড় – মিস্টার ঘোষ কে ফাসানোর জন্য।
দ্বিতীয় চড় – সানায়া কে মারার চেষ্টা করার জন্য।
তৃতীয় চড় – বারবার শুধরাতে বলার পর ও না শুধরানোর জন্য।
চতুর্থ চড় – মিস্টার ঘোষের দিকে খারাপ নজর দেওয়ার জন্য।
পঞ্চম চড় – ঘোষ বাড়ির প্রত্যেকটা সদস্যের পক্ষ থেকে যারা টিকলি কে মাথার ওপর ছাদ দিয়েছে, দুবেলা অন্ন দিয়েছে, সম্মান দিয়েছে।
আর শেষে পুলিশের হাতে তুলে দিল। এবার একদম ঠিক কাজ করেছে শ্রাবণ। রাইটার কে অনেক ধন্যবাদ চড় গুলোর শিডিউল করার জন্য। কিন্তু শ্রাবণ এর দিদি টা এক নম্বরের পাল্টিবাজ। সব সময় বোনের কাছে হাত পাততেই থাকে। ভাগ্য করে একটা বোন ও পেয়েছিল যে বোন নিজের মানসম্মান বিসর্জন দিয়ে বারে গান গেয়েছে, কনট্রাক্ট করে বিয়ে করেছে, এমন কি মাচা তেও নেমেছে শুধুমাত্র নিজের বোন আর বোনঝিদের জন্য, তারা যেন ভালো থাকে সেজন্য।
আরও পড়ুন : “যাঁরই স্বামী হই না কেন শিবের মতোই হব”! শিবরাত্রির দিনে নিজের বিষয়ে আরকি জানালেন দিব্যজ্যোতি?
দোষ করবে নিজেরা আর তার দায় চাপিয়ে দেবে বোনের ওপর। চরম সার্থপর এই বৃষ্টি। কারনে অকারণে বোনের পা ধরে ঝুলে পড়ে তবে এবার শ্রাবণ অনেক শক্ত হয়েছিল। খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। বারবার বোনের মুখ চেয়ে বোনঝি কে ক্ষমা করে দিয়েছে। কিন্তু এবার এসব করে চিড়ে ভেজেনি সোজা পুলিশ হেফাজতে টিকলি।”
