প্রিয়া শতদ্রুকে গুরুত্ব দিলেই ফ্লো নষ্ট হয়ে যায়!মধুবালা পরাগ শিমুলের টক্কর চললেই ধারাবাহিকের টিআরপি হবে!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘কার কাছে কই মনের কথা’। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, বিপাশা,সুচরিতা,শীর্ষা শিমুলের মধ্যে সবথেকে সুখী হচ্ছে বিপাশা। কারণ সে স্বামী সোহাগিনী বউ তার বর তাকে প্রচন্ড ভালোবাসে ও এই বিষয়টা সে সকলকে ফলো করে বলে এবং পাড়াতেও সবাই জানে যে চন্দন দা বিপাশা কে খুব ভালোবাসে।
কিন্তু বিপাশার বাড়িতে থাকতে গিয়ে শিমুল বুঝতে পারে যে চন্দন দা আসলে যতটা দেখায়, ততটা নয়। সে আসলে নাটক করে। চন্দন দার আসলে অন্য কোনও মেয়ের সাথে সম্পর্ক রয়েছে, শিমুল প্রথমে চন্দনদার কথাবার্তা ফোনে শুনে নেয় তারপরে শিমুল চন্দনদার চ্যাট ফলো করে এই বিষয়টা নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর শিমুল সুচরিতা শীর্ষাদের চন্দনদার চরিত্রের বিষয় সমস্ত কথা বলে, সুচরিতারা প্রথমে শিমুলের কথা বিশ্বাস না করলেও পরে শিমুলের কথার দৃঢ়তা দেখে তারা বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়।
এরপর দেখা যায় যে , বিপাশা কে তার বরের চরিত্রের বিষয়ে হালকা হিন্টস দেয় শিমুল এবং চন্দনদার বিষয়ে সমস্ত তথ্য জানতে সে শীর্ষা এবং সুচরিতাদের নিয়ে সেই মেয়ের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং সেখানে গিয়ে জানতে পারে চন্দন দা অলরেডি আর একটা নতুন সংসার ফেঁদে বসেছে।
অন্যদিকে ধারাবাহিকের প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে যে পুতুলের বিয়ের দিন পরাগের অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার খবর শুনে অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছে শিমুল এবং সে ছুটে যাচ্ছে পরাগের কাছে। যা দেখে দর্শক নিশ্চিত পরাগই হবে শিমুলের নায়ক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে
“পরাগ-শিমুলের গল্পে ফোকাস করুক তাহলে টিআরপি আরও বাড়বে।
মধুবালা দেবী ভালো হওয়ায় মনের কথা বেঙ্গল টপার হয়েছিল।পরাগ ভালো হওয়াতে আবার ৭+ এ পৌঁছে যাচ্ছে।
অনলাইনলের মানুষ যতই শতদ্রুর সাথে মিল করানোর কথা বলুক শিমুলকে এরা একটাও মেইনস্ট্রিম অডিয়েন্স না।এরা আসেই কমেন্ট বক্সে কুল ডুড সাজতে।এদের কথাকে পাত্তা দেওয়ার কিছুই নেই।
পরাগ-শিমুলের কেমিস্ট্রি দেখাক সাথে বাকিদের জীবনের সমস্যা-টানাপোড়েন নিয়ে গল্প এগিয়ে যাক।”
আরেকজন কমেন্ট করে লিখেছেন যে,“প্রিয়া আর শতদ্রুকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফ্লো টা নষ্ট করে দিয়েছে। বাবুর মা, সৃজন, পর্ণার মত সবসময় মধুবালা, পরাগ, শিমুলের টক্করকে মূল রেখে কাহিনী চললে সাথে ৬ টায় ভালো কিছুর সাপোর্ট পেলেই আরো ভালো করবে।”