‘প্রোমো দেখে বুঝিইনি খেয়ালি অনুভব জুটি এত সুন্দর ক্লিক করবে!সাইলেন্ট লাভারের চরিত্র অনুভব ছাড়া কারোর পক্ষে করা অসম্ভব!’মিলি দেখে অনুভবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘মিলি’। এই ধারাবাহিকটি প্রচলিত অন্যান্য সমস্ত ধারাবাহিকের থেকে আলাদা, এই ধারাবাহিকটিতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছেন খেয়ালী মন্ডল আর নায়কের চরিত্রে অভিনয় করছেন অনুভব কাঞ্জিলাল।ধারাবাহিকের গল্প টিতে দেখা যাচ্ছে যে, অর্জুন, সে একসময় ধনী পরিবারের সন্তান থাকলেও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সে নিজের সর্বস্ব হারায় এবং তারপর সে হয়ে ওঠে বস্তির অসহায় মানুষদের রবিনহুড অর্জুন গুন্ডা।
অর্জুনের জীবনে একটাই লক্ষ্য ছিলো, সেটা হলো, যারা তাদের অবস্থার জন্য দায়ী তাদের ক্ষতি করা! তার বেঁচে থাকার আর অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিলো না, তার জীবনে ভালোবাসার কোন জায়গা ছিলো না, যদিও তার মনে আবেগ, ইমোশন, ভালোবাসা এই সমস্ত কিছুই ছিলো, কিন্তু সে সমস্ত কিছুকেই দমিয়ে রেখে দিয়ে ছিলো, কারণ সে জানতো, এই জিনিসগুলো কোনদিনও সে তার জীবনে পাবে না।
এরপর তার জীবনে মিলি আসে আর হাজার চেষ্টা করেও সে মিলিকে উপেক্ষা করতে পারে না। মিলির বিপদে সে বারবার ছুটে যায়, পুলিশের মারের পর্যন্ত সে তোয়াক্কা করে না, মিলিকে দেখার পর থেকে অর্জুন নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যায় এবং তার জীবনে মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় মিলি, মিলি যেন কোনো কষ্ট না পায়!
অথচ মিলিকে নিজের সমস্ত টুকু দিয়ে ভালবাসলেও অর্জুন নিজের ভালবাসার কথা কখনো মুখ ফুটে বলতে পারে না। সে একজন সাইলেন্ট লাভার, তাই নীরবে সে মিলিকে ভালোবেসে যায়।
মিলির প্রতি করা তার যত্ন, মিলির জন্য তার চিন্তা, মিলির বিপদের আশঙ্কায় তার পাগলের মতো হয়ে ওঠা এবং মিলির দিকে বড় বড় চোখ করে তাকানো-সবথেকে বড় কথা যে অর্জুন গুন্ডা ভালোবাসা,প্রেম এই সব কথা শুনলে রেগে যেতো, কোন মেয়ের ধারে কাছে ঘেঁষতো না, সেই অর্জুন যখন মিলির ভালোলাগা খারাপ লাগা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে, মিলির পছন্দ অপছন্দের কথা ভাবতে থাকে তখন দর্শক বুঝতে পারেন অর্জুন মিলিকে প্রচন্ড পরিমাণে ভালোবাসে।
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো দর্শকদের মধ্যে প্রচুর মানুষের বক্তব্য এটাই যে মিলি ধারাবাহিকের প্রথম প্রোমো যখন টেলিকাস্ট হয়েছিলো তখন সেই প্রোমো দেখে তারা বুঝতে পারেন নি অনুভব আর খেয়ালীর জুটিটা এত সুন্দর হিট করবে, কিন্তু ধারাবাহিকটি দেখতে দেখতে অনুভবের অভিনয় দক্ষতা দেখতে দেখতে তারা অনুভবের অভিনয় দক্ষতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন। দর্শকের যে অংশের মানুষ একদিন বলেছেন, অনুভবকে কেন হিরো করলো?
আজকে তারাই বলেন, মিলি দেখে বুঝতে পারি অনুভবের অভিনয়ের জন্যই তাকে নায়ক করা হয়েছে! সাইলেন্ট লাভারের এই চরিত্রটা অনুভব ছাড়া আর কারোর পক্ষে করা ইম্পসিবল ছিলো! কারণ অনুভব নিজের চোখের ভাষায় সবটা বুঝিয়ে দেয়!
আরও পড়ুন : টিআরপি খেল দেখালো নিম ফুলের মধু! গীতা এলএলবিকে টপকে ফুলকি-জগদ্ধাত্রীকেও কি ফেললো পিছনে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“প্রোমো দেখে অনেকেই বুঝতে পারিনি অর্জুন চরিত্রে অনুভব এত ভালো করবে বা খেয়ালি অনুভবের জুটিটা এত সুন্দর ভাবে ক্লিক করবে! কিন্তু মিলিটা প্রতিদিন দেখতে দেখতে বুঝতে পারি সাইলেন্ট লাভারের এই চরিত্রটা অনুভব ছাড়া আর কারোর পক্ষে গড়ে তোলা অসম্ভব ছিলো চোখের মধ্য দিয়েই অর্ধেক কাজ সেরে দেয় অনুভব!জাস্ট hats off to anubhav”
