জি বাংলার পর্দায় নতুন শুরু হওয়া একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো “কোন গোপনে মন ভেসেছে”। শুরু থেকেই এই ধারাবাহিক দর্শকদের মনে বেশ ভালো জায়গা করে নিয়েছে। জোড়া বাড়ি নামক একটি বাড়ির সঙ্গে কিভাবে জড়িয়ে গেল শ্যামলীর জীবন সেটাই হলো এই ধারাবাহিকের মূল বিষয়বস্তু।
এ ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা রনজয় বিষ্ণু এবং শ্বেতা ভট্টাচার্যকে। কিন্তু রনজয় এর আসল নাম রনজয় বিষ্ণু নয়। এই প্রতিবেদনেই বলবো অভিনেতার আসল নাম।
স্টার জলসার গুড্ডি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন রণজয়। এরপর অভিনেতা ভেবেছিলেন বেশ কিছুদিন তিনি অভিনয় করবেন না। হঠাৎ করেই “কোন গোপনে মন ভেসেছে” নামক ধারাবাহিকের অফার আসে অভিনেতার কাছে।
অফার ফিরিয়ে দেননি তিনি। গুড্ডি শেষ হওয়ার আগেই এই ধারাবাহিকের অফান পান রণজয়। ধারাবাহিকের পাশাপাশি সিনেমাতে অভিনয় করবেন অভিনেতা। এপ্রিলে শুরু হবে শুটিং।
View this post on Instagram
অভিনেতাকে এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, নামের পাশে “বিষ্ণু” টা কি পদবী? অভিনেতা জানিয়েছেন, এটা আসলে কোন পদবী নয়। বরং উপাধি। অভিনেতার ঠাকুরদা জহরলাল নেহেরুর ইন্টারপ্রেটার ছিলেন।
এই উপাধি তিনিই দিয়েছিলেন। আগে নাম লিখতে গেলে অনেকটা সময় লাগতো। তবে অভিনেতার আসল পদবী কি? রনজয় জানান, “জানি না, বাড়িতে জিজ্ঞাসা করতে হবে চৌধুরী বা মজুমদার হবে”।
জন্মসূত্রে অনুযায়ী নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। ২০০৮ সাল নাগাদ অভিনয় জীবনে আসেন তিনি। তার আগে ড্রয়িং টিচার ছিলেন অভিনেতা। মাসে মাত্র চারটে ক্লাস করে পেতেন ৩০০ টাকা মাইনে। এই টাকা দিয়ে তো আর সংসার চলে না। সেই কারণেই চাকরিতে যোগ দেন। তবে অভিনয় জীবনে আসবে না সেটা কখনোই ভাবেননি তিনি।
জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে দিনে ৩০০ টাকা রোজগার করতেই রনজয়। বড়ো পর্দায় কাজ করে ফের ছোট পর্দায় কাজ করা নিয়ে অভিনেতা জন্য, “খারাপ ছবির থেকে ধারাবাহিকে কাজ করা ভালো । টাকার জন্য খারাপ ছবি করতে পারব না”।
