এটা লিনা পিসির সিরিয়াল এখুনি এক এখুনি আরেক! সাঁতারু থেকে কোজাগরীর আজ ভাতের হোটেল! কি থেকে কি বানালো!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘জল থৈথৈ ভালোবাসা’। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, কোজাগরী বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে, বাড়ির সবাই তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে যায়,তখন কোজাগরী জানায় যে, সে বাড়ি ফিরতে পারে কিন্তু তার একটা শর্ত আছে,সে নিজস্ব কিছু করতে চায়, তখন সে ভাতের হোটেল খোলার শর্ত দেয়। এরপর দেখা যায় যে, কোজাগরী একটি ভাতের হোটেল খুলে ফেলে এবং তার সমস্ত দায়িত্ব দিয়ে দেয় আসমানকে।
কিন্তু বাড়ির প্রচুর মানুষ ওর বিরোধিতা করে, এমনকি তার ছেলেরা পর্যন্ত নিজেরা উচ্চপদস্থ চাকরি করে বলে মায়ের ভাতের হোটেলকে ভালোভাবে দেখতে পারে না! কারণ তাদের ক্লাসের সাথে এটা যায় না! দর্শক এই বিষয়টা কিছুতেই ঠিক মতো মেনে নিতে পারছেন না, দর্শক মনে করছেন যে, এইভাবে বারবার ক্লাস তুলে অপমান করে একটা ভয়ঙ্কর নেগেটিভিটি ছড়ানো হচ্ছে এই ধারাবাহিককে কেন্দ্র করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন পোস্ট করেছেন যে,“ইদানিং কোজাগরী চরিত্র টা কে নিয়ে বেশ নেগেটিভিটি ছড়ানো হচ্ছে! কিন্তু এবার সত্যিই আমি কোজাগরীর সাপোর্টে!
হ্যাঁ ওর বারবার বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া ভীষণ বিরক্তিকর কিন্তু ওর ভাতের হোটেল নিয়ে এইরকম ঝামেলা করার কি মানে? কোজাগরী যেখানে নিজের জীবনটাকে নিজের মতো করে বাঁচতে চায় , আনন্দ করে বাঁচতে চায় , যেটাই করুক মন দিয়ে করতে চায় একটা আয়ের উৎস বানাতে চায় সেখানে সবার এত্ত সমস্যা কেন?
আরও পড়ুন : মাঝরাতে একে অপরের কাছাকাছি এলো সৃজন-পর্ণা! ছেলে বউকে একসাথে সহ্য করতে না পেরে কাঁদছে বাবুউউ’র মা
ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বারবার ক্লাস নিয়ে জ্ঞান দেয় , লেকচার দেয় , খোটা দেয় – আসমানের সাথে মেলামেশা নিয়ে কথা শোনায় , নিজেরা উচ্চপদস্থ চাকুরী করে কিন্তু মায়ের নতুন হোটেলটাকে ভালো চোখে দেখতে পারেনা কেননা তাদের ক্লাসের সাথে বিষয়টা যায়না এ কেমন শিক্ষা ওদের? তারা সবসময় নিজেদের সো কলড ক্লাসটা দেখে তারপরে অন্যদের বিচার করে এটা তো চলবেনা!
কোজাগরী যেখানে বারবার বলছে ও মন দিয়ে কাজটা করতে চায় সেখানে সবার এত্ত সমস্যার তো একটা কারণ ও দেখছি না যাইহোক লিনা পিসির মধ্যবয়স্ক মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এইরকম একটা গল্প ভালোই লাগছে! আর একটা কথা বলতেই হয়, তোতা খুবই Well Educated! মায়ের মেয়ে! এরা কখনোই মানুষকে তাদের অবস্থান , ক্লাস দেখে বিচার করেনা বরং মন দিয়ে বিচার করে!”
এই পোস্টের মধ্যে একজন কমেন্ট করে লিখেছেন যে,“কোজাগরী কাকিমা এটাও বলছিল মন দিয়ে সাঁতার শিখবে আর চ্যাম্পিয়ন হবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুন্তি” একজন তার উত্তরে লিখেছেন যে,“ওটা লিনি পিসির সিরিয়াল এখুনি এক এখুনি আর এক গল্পের শুরু কে শেষ করে দিলো”