বাংলা সিরিয়াল

কিঞ্জলের মনের কথা জেনে গেল শ্যামলী!কীহবে এরপর?কোন গোপনে মন ভেসেছের প্রোমো!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো কোন গোপনে মন ভেসেছে। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, শ্যামলীর একটি ভাতের হোটেল ছিল উত্তরবঙ্গে, সেখানে সে নিজেই হোটেলে রান্না করা, খাবার দেওয়া এবং বাসন মাজার সব কাজ একাই করতো, এই টাকা দিয়েই তার ভাইদের সংসার চলতো কিন্তু তার ভাইয়েরা দিনের শেষে তাকে অবহেলা আর অপমান ছাড়া কিছুই করতো না। একদিন শ্যামলী একজনকে সাহায্য করবার জন্য তাকে অপবাদে শিকার হতে হয় এবং তার ভাই তাকে সারা রাত বাড়ির বাইরে বার করে রাখে।

তখন একটি বাঘ তাকে হানা করে, গ্রামবাসী ও মাস্টার মশাইদের সহায়তায় এই বাঘের কবল থেকে বেঁচে যায় শ্যামলী। তারপর মাস্টার মশায় তাকে বলে, সে যেন আর তার বাড়িতে ফিরে না যায়, সে যেন কলকাতায় যায়। শ্যামলী কলকাতায় কোথায় যাবে? সে কলকাতার কিছুই চেনে না; মাস্টার মশাই তখন বিনোদের কথা বলে। বিনোদের বাড়িতে শ্যামলীকে রেখে আসতে চায় মাস্টারমশাই, কিন্তু ট্রেনে ওঠার সময় মাস্টারমশাই স্ত্রী এর অসুস্থতার সংবাদ শুনে শ্যামলীকে জোর করে একাই তিনি পাঠান কলকাতায়।

কলকাতাতে কিছুই চেনে না শ্যামলী, ট্রেনে উঠে কিছু ছিনতাইবাজদের খপ্পরে পড়ে সে, যারা শ্যামলীর ব্যাগপত্র সবকিছু চুরি করে নেয় এবং সেখানে থাকা বিনোদের বাড়ির ঠিকানাটাও হারিয়ে যায় তার থেকে। এরপর কলকাতা শহরে দিকবিদিক শূন্য হয়ে ঘুরতে থাকে শ্যামলী, এই সময় তার সাথে দেখা হয় অনিকেতের, অনেকেত তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে।

অনিকেতের বাড়িতে এসে সেই বাড়ির সমস্ত মেম্বারদের দেখে খুব ভালো লাগে শ্যামলীর, শ্যামলীকেও তার আপন করে নেয়। অন্যদিকে দেখা যায় ওই বাড়ির সদস্য কিঞ্জলের ভালো লেগে যায় শ্যামলীকে।

আরও পড়ুন : গল্প নেই, থিম নেই উদ্দেশ্যহীনভাবে চলছে মিঠিঝোরা!-নতুন প্রোমো দেখে বিরক্ত দর্শক!

সম্প্রতি এই ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রোমো দিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, শ্যামলী চা দিতে গিয়ে শুনতে পায় কিঞ্জল তাকে ভালোবেসে ফেলেছে আর কিঞ্জলকে অন্য একটা বোন বোঝাচ্ছে এটা করা ঠিক নয়।

– এইসব শুনে শ্যামলী কাঁদতে থাকে এই ভেবে, যখন গ্রামে ছিলো, তখন কেউ তার দিকে ফিরেও তাকাতো না আর শহরে আসার পর সবার তাকে পছন্দ হয়ে যাচ্ছে! কি লেখা আছে তার কপালে? তখনই অনিকেত আসে তার সামনে!

Related Articles