পরাগ পলাশকে ছাড়েনি শিমুল!বিষ মেশানোর জন্য পরাগকে ব্ল্যাকমেল করলো সে!দারুন টুইস্ট মনের কথায়!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে বিয়ে হওয়ার পর থেকে শিমুল শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিতা হচ্ছে, কখনো তার বরের দ্বারা কখনো তার শাশুড়ি ও দেওরের দ্বারা। তবে শিমুল তার আচরণ ব্যবহার দিয়ে শাশুড়ি মধুবালার মন জিতে নেয়, পাশের সঙ্গী হিসেবে পায় তার ননদ পুতুল দিকেও, কিন্তু তার বরের মন সে কিছুতেই পরিবর্তন করতে পারে না, শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও পরাগের মধ্যে সেই মনুষ্যত্ব নেই, তাই প্রতি রাত্রে বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হতে থাকে শিমুল! এইভাবেই এগোতে থাকে ধারাবাহিক কিন্তু শাশুড়ি মধুবালার পরিবর্তন হওয়ায় শিমুলের বর পরাগ ও দেওর পলাশ শিমুলের প্রতি আরো বেশি মাত্রায় বিরক্ত হয়ে যায়।
পরাগকে আরো বেশি করে উস্কাতে থাকে পলাশ এবং পলাশের হবু স্ত্রী প্রতীক্ষা। পলাশ ও প্রতীক্ষার পরামর্শে পরাগ দূর্গা পূজার ভাসানের সিদ্ধির মধ্যে শিমুলের জন্য বিষ মিশিয়ে দেয়, সেই বিষ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় শিমুল কিন্তু সুস্থ হয়ে ফেরার পরে পাড়া প্রতিবেশী এবং শাশুড়ি সবাই বললেও সে তার বর এবং দেওরের বিপক্ষে মুখ খোলে না বরং সে তাদেরকে বাঁচিয়ে নিয়ে সব দোষ নিজের ঘাঁড়ে নেয়।
শিমুলের এই মহানুভবতা দেখে দর্শক যখন বিরক্ত হয়ে উঠছিলো তখন এলো নতুন টুইস্ট, তার খাবারে বিষ মেশানোর জন্য পরাগের থেকে ৫ লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে মাইনের অর্ধেক টাকা দাবি করল শিমুল। দর্শক মনে করছে এই টাকা সে চেয়েছে তার শাশুড়ি এবং ননদের জন্য, কিন্তু এই যে তাকে মারার কারণে পুলিশের কাছ থেকে বাঁচিয়ে ব্ল্যাকমেল করার এই বিষয়টা দর্শকের বেশ মনে ধরেছে!
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে
,“কার কাছে কই মনের কথায় হাই ভোল্টেজ পর্ব হয়েছে আজ।
পরাগ এবং পলাশকে শিমুল ছেড়ে দেয়ায় খুব রাগ হয়েছিলো, ভাবছি এ সিরিয়াল আর দেখবো না। কিন্তু, এরকম একটা টুইস্ট থাকবে ভাবিনি।
শিমুল এখন পরাগকে ব্লাকমেইল করছে। পরাগের কাছে তিন দিনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা চেয়েছে এবং প্রতি মাসের বেতনের অর্ধেক শিমুলকে দিতে বলেছে। নাহলে সে থানায় গিয়ে সব সত্যি বলে আসবে বলেছে।
দারুন হচ্ছে।”
