বাংলা সিরিয়াল

কোজাগরী ও উদ্যলোকবাবু দুজনেই একে অপরকে সম্মান করে! দুজনের অসাধারণ সুন্দর কেমিস্ট্রি তুলে ধরেছে জল থৈথৈ ভালোবাসা!

স্টার জলসার একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো জল থৈ থৈ ভালোবাসা। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে কোজাগরী এমন একজন মানুষ যে সকলকে খুব ভালোবাসে এবং সবাইকে নিয়ে একসাথে চলতে চায়। তার এই উদার মানসিকতাকে তার স্বামী, থেকে শাশুড়ি, ছেলে, মেয়ে সবাই খুব পছন্দ করে, কিন্তু কোজাগরী মাঝেমধ্যে একটু পাগলামোও করে।

আসলে সে বয়সের বেড়াজালটা মানতে চায় না, তাই কখনো ছেলে মানুষের মতো আচরণ করে, কখনো পুজা মণ্ডপে কোমরে কাপড় জড়িয়ে ঝগড়া করে,হাতাহাতি করে, কখনো ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’প্রতিযোগিতায় মা দুর্গা রূপে সাজে, কখনো আবার বয়সের বেড়াজাল না মেনেই সাঁতার শিখতে আগ্রহী হয়।

তার শাশুড়ি এবং স্বামী তাকে সব ক্ষেত্রে উৎসাহ দিলেও কিছুদিন আগে একটি এপিসোডে দেখা গিয়েছিলো যে, কোজাগরীর বর কোজাগরীকে বলছে কোজাগরীর কারণে তাকে অনেকের কাছেই অসম্মানিত হতে হয়। কোজাগরী সংস্কৃতের পণ্ডিত মহাশয়ের সাথে এমন কাজ করেছে, যে কারণে তাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। – বরের কাছ থেকে এইসব কথা শুনে কোজাগরী চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করে এবং শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যায়।

কিন্তু কোজাগরীর সাথে তার বরের যতই ভুল-বোঝাবুঝি হোক তারা যখন একে অপরের মুখোমুখি হয় তখন কিন্তু তারা একে অপরকে সম্মান ই জানায়। কোজাগরী মনে করে তার স্বামী হাজার আলোর ঝাড়বাতি আর তার স্বামী মনে করে কোজাগরী মানবপ্রতিমা। তাহলে এই ভুল বোঝাবুঝি কেন? আসলে কোজাগরী তো তার স্বামীর প্রাণ, সেই প্রাণকে চাইলেই শাসন করা যায়, তাই শাসন ই করতে চেয়েছিলেন উদ্যলোক বাবু।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“অসাধারন এপিসোড। Husband wife এর এতো সুন্দর কেমিস্ট্রি just অসাধারণ। উভয়ের উপর অভিমান থাকা সত্বেও নিজেরা উভয়ের উপর সন্মান, ভালোবাসা,srodhya সব কিছু কে বজায় রেখে এতো সুন্দর ভাবে অভিমান bhangano সত্যিই অসাধারন অনবদ্য। কোজাগরী সে তার স্বামী কে হাজার আলোর ঝারবাতি বলে মনে করে।

আর উদ্যালোক বাবু তার wife কে মানব প্রতিমা বলে মনে করেন।যাদের মধ্যে এতো সন্মান বিরাজমান তারা কি একে অপরের থেকে বেশী দিন দূরে থাকতে পারে,না থাকা সম্ভব

কোজাগরী হলো উদ্যালোক বাবুর প্রাণ।আর সেই প্রাণকে শাসন করা যায়,অপমান করা যায় না।

আরও পড়ুন : অবিবাহিত হয়েও শাঁখা সিঁদুর পড়ে সাধের অনুষ্ঠান মিশকার! এবার মোক্ষম চাল দিল দীপা

কোজাগরী সত্যি তুমি নমস্য। যাকে বাড়ী ফিরিয়ে আনতে শাশুড়ী মা সকাল থেকে অনাহারে থাকেন।মেয়ে,ভাবী পুএবধূ অনরগল চক্ষু জলে ভাসায়।আর স্বামী র প্রাণটাই যাবার উপক্রম, সে সংসার তো সুখের হওয়াটাই তো বাস্তব। যার হাতের ছোঁয়া বাড়ীর প্রতিটি জিনিসে বিরাজমান সেই তো একমাএ বাড়ীর লক্ষি হবার যোগ্য তাই না।

পিতা মাতার কষ্টকে ভুলতে যে হাসি আনন্দ কে সঙ্গী করে বাঁচতে চায় সেই তো সত্যিকারের মানুষ।কোজাগরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকলেও, ওর মনটা বড়ই ভালো,মানবিক,অন্যের কষ্টে যে কষ্ট পায়,সেই তো প্রকৃত শিক্ষিত তাই না”

আরও পড়ুন : ‘দেবকে অসহায় লাগছে! কাউকে বোঝাতে পারছে না পারো তার পাশেই আছে’তুমি আশে পাশে থাকলে দেখে মুগ্ধ নেটিজেন!

Related Articles