‘মানালির জন্যই মনের কথা বেঙ্গল টপার’,‘তাহলে মানালিকেই একা রেখে দিক! বাকিদের দরকারটা কি?’,‘অভিনেত্রী নয় গল্পের জন্যই টপার’ক্রেডিট নায়িকার না টিমের? মনের কথা নিয়ে শুরু হয়েছে বাক যুদ্ধ!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা বেঙ্গল টপার হয়েছে। এই ধারাবাহিক বঙ্গ সেরা হওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিকের ভক্তরা বাক যুদ্ধে লেগে পড়েছেন, এই যুদ্ধের কারণ মূলত বঙ্গ সেরা হওয়ার পিছনে ক্রেডিট কার সেটা নিয়ে! একদল মনে করছেন এই ধারাবাহিকের নায়িকা শিমুল অর্থাৎ মানালি দেরজন্যই এই ধারাবাহিক বঙ্গ সেরা হয়েছে, আর একদল মনে করছে নায়িকার ক্রেডিট নয়, গল্প ভালো হওয়ার জন্য এই ধারাবাহিক বেঙ্গল টপার হয়েছে।
একদল যেখানে মনে করছেন সন্দীপ্তা সেন ,পায়েল দে, মানালি দে, অপরাজিতা আঢ্যর মতো অভিনেত্রীদের ধারাবাহিকে রাখলে মানুষ দেখতে বাধ্য, এরা ধারাবাহিকে প্রচুর টি আর পি টানে, আরেক দল মনে করছেন, অভিনেতা অভিনেত্রীদের দিয়ে কখনো টিআরপি আসে না, আসল হলো গল্প,কোন লিড ফেসই যদি টিআরপি টানতো তাহলে ভূমিকন্যা, মহানায়ক সিরিয়ালটি ফ্লপ হতো না, যেখানে মেন ভূমিকায় ছিলেন টলিউডের সোহিনী সরকার ও আরেকটিতে ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়!
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে, কার কাছে কই মনের কথা বঙ্গ সেরা হয়েছে গল্পের জন্য এবং এর পিছনে পুরো টিমের ক্রেডিট আছে। শুধু মানালিকে নিয়েই ধারাবাহিকটা নয়, সুচরিতা, বিপাশা,শীর্ষা,পরাগের মা, পুতুলের মতো চরিত্রগুলোও ইম্পরট্যান্ট! কারোর কথায়,”মানালির যদি এতোই পাওয়ার তাহলে ওকে একাই রেখে দিক! বাকিদের রাখার দরকার টা কি? দেখি কেমন বেঙ্গল টপার হয়!”
একজন আবার পুরো ক্রেডিটটা মানালিকে দিয়ে লিখেছেন,“একটা ধারাবাহিক একজনকে দিয়ে হয়না।কিন্তু বেঙ্গল টপার হলে সিংহভাগ ক্রেডিট কিন্তু নায়িকাই পায়।তাই মনের কথার বেশির ভাগ ক্রেডিট মানালীকে দিলে সেটাকে কেউ অগ্রাহ্য করতে পারবে না।
ইন্টারভিউ নিতে কিন্তু সাংবাদিকরা মানালীর বাড়িতেই গেছে।
বাকি সকলে গুণী এবং ভালো অভিনেত্রী সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
তাই মানালীকে ক্রেডিট দিলে যাদের সমস্যা হয় তারা জরিপ করলেই তো বুঝবেন।ভিন্ন গল্প,ভিন্ন চরিত্র,ভিন্ন কো-আর্টিস্ট কিন্তু নায়িকা একজনই।
এটাই কি যথেষ্ট প্রুভ নয়?
ফ্লপ হলে যদি নায়িকাকে সব দোষ দেওয়া যায় তাহলে হিট হলে বেশি ক্রেডিট নায়িকাকে কেন নয়?
মানালীর মত লিড রোলে ৩ টা বেঙ্গল টপার হওয়ার রেকর্ড খুব কম অভিনেত্রীরই আছে।এটা যারা মানালীকে পছন্দ করেনা তারা পর্যন্ত স্বীকার করে।আর স্বীকার না করার কি আছে!ফ্যাক্ট তো চেঞ্জ হবেনা।
আমি যদি বোঝেনা সে বোঝেনা আর মিঠাইকে সারাদিন রাত ফ্লপ বলে চিল্লাই ফ্যাক্ট কি চেঞ্জ হবে!
একটু সহনশীল হলেই সব সহজ লাগবে।”