বাংলা সিরিয়াল

চাঁদনী নয় প্রথম থেকে মৌকে ভালোবাসতো ডোডো! বিস্ফোরক সত্যের মুখোমুখি!চাঁদনীর সাথে নিছক বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে ভালোবাসা ভেবেছিল আর মৌয়ের প্রতি অহেতুক টানটাকে ভেবেছিল মায়া!

‌স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মেয়েবেলা তে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে, মৌয়ের মেসো কোন কিছু না জানিয়ে সম্পূর্ণ জালিয়াতি করে মৌ এর সাইন নিয়ে ডোডোদের একতলাটা নিজের নামে করে দিয়েছে, এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আম্মা থেকে সুরজিৎ সকলে যখন মৌকে ভুল বুঝছে তখন মৌ নিজের শ্বশুর বাড়ি ছাড়ে। এই সময় থেকে ডোডো এবং মৌ এর মধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয় সৃষ্টি হয় ভুল বোঝাবুঝি।

ডোডো চুপচাপ পুরো পরিস্থিতিটা বুঝতে চায় কিন্তু সে একবারও মৌকে অবিশ্বাস করে না, অন্যদিকে ডোডোর চুপ করে থাকা দেখে মৌ ভাবে ডোডো তাকে অবিশ্বাস করছে- এইসবের মাঝখানে আবার দুজনের মধ্যে এসে হাজির হয় চাঁদনী কিন্তু চাঁদনীকে দেখে ডোডো এতটুকুও স্বস্তিতে পড়ে না বরং বিরক্ত হয়, চাঁদনীর উপস্থিতি তাকে আনন্দ দেয় না, ঘুরেফিরে বারংবার সে মৌয়ের কথা ভাবতে থাকে, মৌ এর বিরুদ্ধে চাঁদনী কথা বলায় ডোডো রীতিমতো বিরক্ত হয়।

যা দেখে দর্শক সহজেই বুঝতে পারছে যে,ডোডোর মন জুড়ে এখন মৌ, কিন্তু এটা তো গেল এখনকার কথা! অতীতে? দেখা যাচ্ছে যে, অতীতেও ডোডো কখনোই চাঁদনীকে ভালবাসে নি, বরং বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে ভালোবাসা বলে ভুল করেছে, বরাবরই মৌয়ের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল যেটাকে ডোডোর ভাই বোনেরা মায়া ভাবতো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে, “ডোডো এবং চাঁদনীর সম্পর্কটা কখনই খুব একটা গভীর ছিলো না।

তারা ১২ বছর একসাথে ছিল ঠিকই, কিন্তু তার মধ্যে কয়েক বছরই তো নির্ঝর ইতালিতে পড়াশুনা করার জন্য থাকত।

বিয়ের আগে দেখানো এক ফোন আলাপে ডোডো চাঁদনীকে বলছিল যে বিয়ের পরে কলকাতা শহর ঘুরে অন্যান্য কাপলরা যেসব করে , যেখানে যেখানে প্রেম করে সেগুলো নাকি করবে কারণ এর আগে তারা সেগুলো করেনি। দুজনই একই শহরে থেকে ১২ বছরের সম্পর্কে একবারও কোথাও প্রেম করতে যায় নি?

ওদিকে নাকি তাদের কখনোই ঝগড়া হয়নি। এমন তো না যে একে অপরের কোনো কাজেই গত ১২ বছর তারা একবারও বিরক্ত হয় নি। তা হতেই পারে না। কিন্তু এটা হতে পারে যে বিরক্ত হলেও তাদের মধ্যে সেই ফর্মাল বাপারটা ছিল বলে একে ওপরের প্রতি কখনো রাগ দেখায় নি।

ডোডো চাঁদনীর সাথে একটু গলা উঁচু করে কোথা বললেই চাঁদনীর সেটা খারাপ লাগে। তার মানে নির্ঝরের কখনও মাথাটা গরম থাকলে কিংবা মন খারাপ থাকলেও সেটা চাঁদনী কাছে সে প্রকাশ করে নি। করার প্রয়োজন মনে করে নি। অথবা নিজের বিরক্তিটুকু শেয়ার করার মতো আপন মনে করে নি।

ওদের সম্পর্ক টা অন পেপার একদম পারফেক্ট। কিন্তু যতই ঘুটিয়ে দেখতে যাবে তত বুঝবে ওদের মধ্যে কতটা দুরত্ব ছিল। ওরা শুধুই ছোট বেলার খুব ভালো বন্ধু যারা মনে করেছে যে তারা একে অপরকে রোমান্টিকভাবে ভালোবাসে এবং এত বছর একসাথে থেকে এখন এটা তাদের একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

চাঁদনী শুধুই ডোডোর বারো বছরের অভ্যাস ছিলো। ভালোবাসা না। কিন্তু মৌকে অল্পঅল্প করে হলেও ডোডো ভালবাসতে শুরু করেছে।তা বোঝা যায় যখন বিয়ের পরে যত বার চাঁদনীর সাথে ওর কোনো সিন দেখান হয়েছে, সব সিনেই ওর “খারাপ” লাগলেও সেই মুহূর্তে চাঁদনির সাথে থাকা অবস্থাতেও কিভাবে জানি মৌর কোথা মনে করতে থাকে। নিজেকে হয়ত বোঝায় যে চাঁদনীর সাথে সময় কাটানো ভুল জেহুতু মৌ ওর স্ত্রী।

কিন্তু মৌ এর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলোর সময় কিন্তু একবারও সে চাঁদনীর কোথা মনে করে না। আমাদের মোহনাতেই হারিয়ে থাকে। ১২ বছরের প্রেমিকাকে বাদ দিয়ে অন্য করো চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে থাকলে, একসাথে বসে গল্প করলে কিংবা কোলে তুলে নিলে একবারও কি তার কোথা মনে করে গিলটি ফিল হওয়ার কোথা না যদি সে সত্যিই ওকে এত ভালোবাসত।

মৌ চাঁদনীকে ওর সাথে দেখলে অথবা হটাৎ চাঁদনীর কথা উঠলে ডোডো পাগল হয়ে যায় মৌকে বোঝানোর জন্য যাতে মৌ কষ্ট না পায়।

মৌএর সাথে তো ডোডোর কোন সম্পর্কই নেই। আবার এখন অলমোস্ট ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে। তারপরও চাঁদনী ওর হাত ধরলে ওর স্বস্তির চেয়ে অসস্থি বেশি হয়, সেটা মৌ দেখুক আর নাই দেখুক। তাহলে আপনারাই বুঝুন সে কী সত্যিই চাঁদনীকে ভালোবাসত? নাকি শুধুই মনে করত যে বন্ধুত্বটাই হয়তো ভালোবাসা। কারণ চাঁদনী আর ডোডোর কিন্তু দুজন দুজনকে ছাড়া আর তেমন কোনো বন্ধু ও আমরা দেখি নি।

মৌ ই ওকে আসল ভালোবাসা ফিল করতে শিখিয়েছে।”

 

ঐ পোস্টে অন্য একজন কমেন্ট করে লিখেছেন যে,“সম্পূর্ণ একমত। দেখ। এটাই আমার মনে হয়। চাঁদনীর সঙ্গে বন্ধুত্বের পর ডোডো নিজের পড়াশোনা, কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে আর কোনো দিকে মন দেয়নি। তাই ওদের দুজনের ধারণা, ওরা একটা কাপল। যেটা একটুও ঠিক নয়। নিজের রাগ, দুঃখ, কষ্ট চাঁদনীর সঙ্গে শেয়ার করার কথা ডোডো কখনও ভাবতেই পারেনি, কারণ চাঁদনী ততটা আপন ছিল না। একদম পারফেক্ট বলেছ।

বরং মৌয়ের দুঃখে ওর যে কনসার্ন, বিয়ের আগে থেকেই, সেটাকে ওরা ভাইবোনেরা মৌয়ের প্রতি মায়া ভাবলেও, আসলে ওটাই ছিল মৌয়ের প্রতি ডোডোর ভালবাসা। যেটা বিথী বুঝত বলে কেবলই ছেলেকে পাহারা দিত।”

 

Related Articles